দুই ঘণ্টায় দুই হাজারেরও বেশি মন্তব্য আসে ওই পোস্টে।
Published : 15 Apr 2025, 09:20 PM
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে সরব হওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসনাত তার ফেইসবুক পেইজে ৬০ শব্দের একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, “যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।”
দুই ঘণ্টায় দুই হাজারেরও বেশি মন্তব্য আসে হাসনাতের ওই পোস্টে।
এদিন সামাজিক মাধ্যমে মিরপুর এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতা।
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা কার্যত আত্মগোপনে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দিবসে ঝটিকা মিছিল বের হলেও পুলিশ পরবর্তীতে মিছিলকেন্দ্রিক কয়েকজনকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতেই মিরপুরে অনেকটা শান্ত মেজাজে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। ওই মিছিলের পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে আওয়ামীবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, “যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি-অতি শিঘ্রই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন। না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি, আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান।”
হাসনাত আব্দুল্লার পোস্টের নিচে তার পক্ষে ও বিপক্ষে মন্তব্য এসেছে। এনসিপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের রাজনীতি করছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। আবার আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বর্তমান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন।
এম এম মারুফ উল ইসলাম নামের সাবেক এক ছাত্রদল নেতা লিখেছেন, “এনসিপি ডানে, বামে, পিছনে, সামনে পর্দার আড়ালে সবই তো আমলীক (আওয়ামী লীগ), দোসর। এটা আগে ক্লিয়ার করো ভাই, তারপর আসো এসব আলাপে।”
নূর মোহাম্মদ সোহেল নামের একজনের মন্তব্য, “জঙ্গিবাদের সাথে নো কম্প্রোমাইজ।”
রবিউল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, “যাদের ভিতর অপরাধবোধ নাই, তাদের সাথে কিসের শিষ্টাচার?”