গ্যাস দুর্ঘটনা রোধে ১৭ ‘সুরক্ষা মানদণ্ড’ নির্ধারণ করছে বিএসটিআই

“এসব মানদণ্ড টেকনিক্যাল কমিটিতে অনুমোদন পেয়েছে। উচ্চতর কমিটিতে অনুমোদন পেলে এগুলো বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে”, বলেন বিএসটিআই মহাপরিচালক।

গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত গ্যাস দুর্ঘটনা রোধে ১৭টি ‘সুরক্ষা মানদণ্ড’ (সেইফটি স্ট্যান্ডার্ডস) নির্ধারণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসটিআই মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম এই তথ্য তুলে ধরেন বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

‘সেইফটি স্ট্যান্ডার্ডস ফর ডমেস্টিক গ্যাস কুকিং অ্যাপ্লায়েন্সেস' শীর্ষক কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বিএসটিআই, পেট্রোবাংলা ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

সেখানে বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, “গৃহস্থালিতে গ্যাসের রান্নায় দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হলো রান্নায় ব্যবহৃত চুলা বা অন্যান্য সরঞ্জামের বিষয়ে সচেতন না থাকা। দেরিতে হলেও বিএসটিআই এসব বিষয়ে মানদণ্ড প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।”

আন্তর্জাতিক মানের সাথে সংগতি রেখে এসব মানদণ্ড প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এগুলো বিএসটিআইয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে অনুমোদন পেয়েছে। উচ্চতর কমিটিতে (ডিভিশনাল কমিটি) অনুমোদন শেষে এটা বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে কাজ করবে বিএসটিআই।”

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই পরিচালক (মান) সাইদুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বিএসটিআই উপপরিচালক (প্রকৌশল) মুরসালিন মাহফুজ।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহকারী অধ্যাপক মাসরুর-উর-রহমান, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক আবদুর রহিম, জেএমআই এলপিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী।

বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিঅং এবং পেট্রোবাংলা পরিচালক (পরিকল্পনা) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।