তিন দিন সময় দিয়ে সড়ক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঠিকাদাররা।
Published : 19 Aug 2024, 12:56 AM
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে অধিদপ্তরের ঠিকাদারদের একটি অংশ।
রোববার তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা, যারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার দাবি করেছেন।
‘ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার সমন্বয় কমিটি’ নামে দেওয়া এ স্মারকলিপিতে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত চলমান কাজ বন্ধ রাখা এবং আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখা না হলে চতুর্থ কার্যদিবস থেকে সড়ক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঠিকাদাররা।
স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে, ৪৭টি পেশাদার ঠিকাদার কোম্পানি এই সমন্বয় কমিটির সদস্য।
১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরকে আদর্শ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে এতে।
স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা- কর্মচারী বিভিন্নভাবে এই খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
শফিকুল আলম নামে একজন ঠিকাদারের অভিযোগ সড়ক ভবন দুর্নীতির একটা আখড়ায় পরিণত হয়েছে, তারা যা খুশি তাই করছে।”
রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা দুর্নীতিমুক্ত একটা সড়ক ভবন চাই। অভিজ্ঞ ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে যারা আওয়ামী লীগের দালালি করেছে তাদের কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গত ছয় মাস ধরে প্রতিবাদ করেছি।
”কিন্তু পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এমনকি ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি আজ দাবি নিয়ে যাওয়ার পর তারা বলেছে তাদেরকে কিছুই করতে পারব না। আজও আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে তারা।”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনারা আজ এসেছিলেন। একটা স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে যেগুলোর আমাদের পক্ষে সমাধানযোগ্য সেটা আমরা দেখব।”
ঠিকাদারদের দাবিগুলো মধ্যে আছে
• সওজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করা।
• দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপসারণ।
• আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদেরকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্য অযৌক্তিকভাবে অভিজ্ঞ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অযোগ্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
• সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষদ নেতা প্রকিউরমেন্ট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে অপসারণ।
• গত এক বছর শুদ্ধি অভিযানের নামে চলা অভিযান বাতিল।
• কোনো দলীয় ক্ষমতা বা দুর্নীতি বাদ দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ দেওয়া।
• জিওবি ফান্ড টেন্ডারে ‘প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট’ পদ্ধতি চালু।
• গত এক বছরে পিপিআর-২০০৮ এর শর্ত শিথিল করে যে কাজ দেয়া হয়েছে তা বাতিল করা।
• বর্তমানে আহ্বান করা চলমান দরপত্র জরুরি ভিত্তিতে স্থগিত করা।
• এবং ওটিএম টেন্ডারের ক্ষেত্রে পয়েন্ট পদ্ধতি বাতিল করা।