বন্যার পানিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারগুলো গ্রিনফিল্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ডুবে যাওয়ায় এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
Published : 26 Aug 2024, 06:58 PM
বন্যার কারণে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনীসহ দেশে উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলার ১ হাজার ১৯৩টি মোবাইল টাওয়ার ‘অচল হয়েছে’ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪৩টি অচল হয়ে পড়েছে ফেনীতে।
বন্যার পানিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারগুলোর গ্রিনফিল্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ডুবে যাওয়ায় এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
বিটিআরসি’র অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার জেলায় টেলিযোগাযোগে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিটিআরসি বলছে, এসব জেলার মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যার মধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৮টি।
এরমধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৩৩৭টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬২টি, ফেনী জেলায় ৫৩৪টি, কুমিল্লা জেলায় ১৪১টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৭টি, চট্টগ্রাম জেলায় ৪৬টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৪১টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৫টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯টি, সিলেট জেলায় ৬টি ও কক্সবাজার জেলায় ৫টি টাওয়ার কাজ করছে না।
সবকটি টাওয়ার সচল করতে সম্মিলিত চেষ্টা চলমান রয়েছে জানিয়ে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি ইত্যাদি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
"এরইমধ্যে ফুলগাজী উপজেলায় রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, সোনাগাজী উপজেলায় গ্রামীনফোন ও রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, ছাগলনাইয়া উপজেলায় গ্রামীনফোন এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকোর সাথে সমন্বয় করে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য ছয়টি স্পিডবোট সরবরাহ করা হয়েছে।"
এছাড়া ফুলগাজী এবং ছাগলনাইয়া উপজেলায় বাংলালিংককে ভেহিকেল সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি মহাপরিচালক।