“হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে থেকে জাতীয় মঙ্গলের অভিপ্রায়ে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন”, বলেন তিনি।
Published : 17 Oct 2024, 10:14 PM
বাংলার ইতিহাসের ‘পুনর্গঠনে’ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন লেখক, চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাবের আগে যে কয়জন অগ্রণী চিন্তাবিদ বাঙালি মুসলমানদের জাগ্রত করেছেন, তাদের মধ্যে আবদুল করিম একজন বলেও মনে করেন তিনি।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, “আবদুল করিম নিছক সাহিত্য বিশারদ ছিলেন না; তার স্থান এই দেশের কেন, দুনিয়ার যে কোনো দেশের ইতিহাস-বিশারদদের মধ্যে প্রথম দিকেই থাকবে।”
সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচকের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন সলিমুল্লাহ খান।
আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব মোহা. নায়েব আলী।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, “আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে পুঁথি-সংগ্রাহক পরিচয়ের ক্ষুদ্র পরিসরে আবদ্ধ করে রাখাটা ঠিক নয়। তিনি একাধারে ছিলেন সাহিত্যের ইতিহাসকার, ইতিহাস তত্ত্ববিদ এবং নিষ্ঠাবান গবেষক।
“হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে থেকে জাতীয় মঙ্গলের অভিপ্রায়ে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ বলেন, “আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের বিশেষত্বময় গদ্যশৈলী, প্রখর ইতিহাসবোধ এবং আত্মপরিচয়ের উৎসমূল অনুসন্ধান তাকে আজও আমাদের আগ্রহ ও আবিষ্কারের কেন্দ্রে রেখেছে।”
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের কাজ আসলে ইতিহাসেরই কাজ। তাকে অনবরত পাঠ করলে আমরা তার জেদ ও লড়াইয়ের মাত্রা অনুভব করব।
“তার জন্ম ও সাধনভূমি চট্টগ্রাম অঞ্চল ঘিরে বিশেষ অনুরাগের কথা মাথায় রেখেও বলা যায় তিনি সামগ্রিকভাবে জাতীয় সাহিত্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় চেতনা বিকাশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।”