Published : 04 Oct 2024, 08:01 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের দিন যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহতের মামলায় পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এনামুল হক আবুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই তন্ময় কুমার বিশ্বাসের আবেদনে শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এনামুলকে আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা। ওই আবেদনে বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি নিয়ে পরে আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে মামলাটিতে সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কানাডা থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমেই গ্রেপ্তার হন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনসুর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। ওই দিন ঢাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সমাবেশ করে। আর মতিঝিলে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী।
নির্বাচনের আগ দিয়ে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের সেই দিন কাকরাইল-পল্টন এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মধ্যে যুবদল নেতা শামীমের প্রাণ যায়।
এক বছর আগের এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশের কারণে রাজধানীতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেদিন দুপুরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাজির হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বিএনপির মহাসমাবেশে আক্রমণ চালায়।
এজাহারে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশে আক্রমণ করে এবং নেতাকর্মীদের গুরুতরভাবে আহত ও হত্যার চেষ্টা চালায়। তাদের হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন এবং শতাধিক বিএনপি কর্মী আহত হন।”
আরও পড়ুন-