গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে জাফর উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Published : 22 Sep 2024, 10:20 PM
ঢাকার পল্টন থানার এক হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদনের করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।
জামিন শুনানিতে শাহীন বলেন, কাজী জাফর উল্যাহ একজন জনপ্রিয় রাজনীতিক। চার দিন আগে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে না এনে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি বলেন, “আগে মানুষের জীবন, তারপর বিচার। একজন মানুষ বাঁচলেই না তার বিচার হবে। ইতোপূর্বে তিনি মাইনর স্ট্রোক করেছেন। এ ছাড়া মামলার ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে হয়রানি করার জন্য তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ।
এ সময় কারাগারে ডিভিশন ও চিকিৎসার জন্য আরও দুটি আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য জাফর উল্ল্যাহ। এ বিচেনায় তিনি কারাগারের বিধি অনুসারে ডিবিশন পাওয়ার হকদার।
চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু তিনি হার্টের রোগী এবং আরও শারীরিক সমস্যা আছে, তিনি একজন বয়স্ক মানুষ; সেহেতু কারাগারে যেন তাকে সুচিকিৎসা দেওয়া হয়, আমরা সে জন্য আবেদন করছি। “
এ সময় তার শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার কাগজপত্র আদালতে জমা দেন আইনজীবী।
শুনানি শেষে কারাবিধি অনুসারে তাকে ডিভিশন এবং যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে জাফর উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে নেওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। তার অসুস্থতার বিষয়টি আদালতকে জানায় পুলিশ।
সুস্থ হওয়ায় রোববার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।