সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) শুরুর পরিকল্পনা।
Published : 18 Aug 2023, 12:36 AM
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নীতিমালা ও প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশিকা এবং প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জি চূড়ান্তে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী রোববার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ কমিশন সভা হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিষয়ে নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করছি। এটা আগামী কমিশন সভায় উত্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে তা প্রজ্ঞাপন করে মাঠ পযায়ে পাঠিয়ে দেব।”
রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের পরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজগুলো আগে গুছিয়ে রাখা হচ্ছে, ডেটাবেজ করে রাখলে তা সুবিধা হবে।
ইসি সচিব জানান, প্যানেল প্রস্তুত নির্দেশিকা ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জির খসড়াও কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের বিপরীতে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে আড়াই লাখের বেশি ভোট কক্ষ থাকতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা একজন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দুইজন এবং ভোটকক্ষ প্রতি দুইজন পোলিং অফিসার মিলিয়ে কেন্দ্র প্রতি ৮/১০ জনের মতো পোলিং অফিসার প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার লোকবল প্রস্তুত রাখতে হয়। সব মিলিয়ে ৭-৮ লক্ষাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগে যত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকের প্রয়োজন হবে, তার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি লোকবল বাছাই করে প্যানেল প্রস্তুত করতে হয়।
গত একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার) নিয়োগের প্যানেল প্রস্তুত ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন অফিস/প্রতিষ্ঠান থেকে জরুরি ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারির তালিকা সংগ্রহ করার জন্য ইসি সচিবালয় অক্টোবরের দিকে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠায়।
প্যানেলভুক্ত করার জন্য নীতিমালা মেনে নির্ধারিত ছকে তফসিল ঘোষণার আগেই ইসি সচিবালয় ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে পাঠাতে বলা হয়ে থাকে।
অর্ধলক্ষ ভোটকক্ষ বাড়ছে
খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইসি সচিব জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষ বাড়ছে ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ বা ৫৪ হাজারেও বেশি।
জাহাংগীর আলম জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৭ হাজারের বেশি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকায় ভোটকক্ষ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজারের বেশি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ৪০ হাজারের বেশি, আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি হতে পারে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের পর এসব ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা গেজেট আকারে নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করবে বলে জানান সচিব জাহাংগীর।
আরও পড়ুন