গ্রেপ্তাররা যাত্রীদের নির্জন জায়গায় নিয়ে ছিনতাই করে আসছিল।
Published : 03 Feb 2025, 04:32 PM
ঢাকায় নেমে এক ইতালীয় গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ভাড়ায় মোটরসাইকেলে চড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।
ওই বাইক চালক যাত্রীকে গন্তব্যে না নিয়ে ‘সুবিধাজনক’ স্থানে নিয়ে পাসপোর্ট, ফোন, টাকাসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি খোরশেদ আলম ও শাহিন মিয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ‘পেশাদার ছিনতাইকারীরা’ বাইক চালকের বেশে যাত্রীদের নির্জন জায়গায় নিয়ে ছিনতাই করে আসছিল।
সোমবার দুপুরে ঢাকার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার রওনক জাহান।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, “রোববার ভোরে ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ঢাকায় নামেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৯ নম্বর সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যেতে একটি ভাড়ার মোটরসাইকেলে রওনা দেন।”
পুলিশ কর্মকর্তা রওনক বলেন, “মোটরসাইকেল চালক ইতালিয়ান নাগরিককে হোস্টেলে না নিয়ে গিয়ে ১৫ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন ব্রিজের পাশে নিয়ে যায়।
“সেখানে বাইক চালক ও আরেকজন মিলে ইতালিয়ান নাগরিককে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইতালিয়ান পাসপোর্ট, একটি আইফোন, ইতালিয়ান পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড, নগদ ৫০ ইউরোসহ অন্যান্য মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।”
একপর্যায়ে স্থানীয়দের পরামর্শে তানিয়া তুরাগ থানায় গিয়ে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
রওনক জাহান বলেন, “বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে বাইক চালক খোরশেদ আলমকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে তুরাগের পাকুরিয়া এলাকা থেকে শাহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, “তারা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। মোটরসাইকেল চালকের বেশে যাত্রীদের নির্জন জায়গায় নিয়ে ছিনতাই করে আসছিল।”
ছিনতাই হওয়া পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে পেয়ে ইতাতীয় তানিয়া মোহাম্মদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ডিএমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।