এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন করেছেন ৫৩ হাজার ১৭৩ জন।
Published : 24 Jan 2024, 10:00 PM
এবার হজের খরচ কমানোর পরও নিবন্ধনে সেভাবে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। দুই দফা সময় বাড়িয়েও কোটার অর্ধেকও পূরণ না হওয়ার পর আবার নিবন্ধন বাড়ানোর ঘোষণা দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী এক সপ্তাহ, অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় থেকে হজ চুক্তির আগেই হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে। তারপরেও হজযাত্রী ও হজ এজেন্সির বিশেষ অনুরোধে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এ বছর হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে সেই সময় ১৮ জানুয়ারি বাড়ানো হয়েছিল।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন করেছেন ৫৩ হাজার ১৭৩ জন। এখনও সুযোগ আছে ৭৪ হাজার ২৫ জনের।
যারা নিবন্ধন করবে তাদেরকে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের পর প্যাকেজের বাকি অর্থ ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হবে।
হজ: দুই দফা সময় বাড়িয়েও কোটার অর্ধেক নিবন্ধন
চূড়ান্ত নিবন্ধন না করলে প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে পারবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন। বাকিরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি করে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগের বছরের তুলনায় এবার হজের খরচ কমিয়ে গত নভেম্বরে জানানো হয়, এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ প্যাকেজে হজ করতে লাগবে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় ধরা হয়।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কমিয়ে সাধারণ প্যাকেজ ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজ ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা ঠিক করে হজ এজেন্সিদের সমিতি- হাব।
আগের বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে খরচ নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
তাতে কুলাতে না পেরে প্রাক-নিবন্ধনকারী অনেকেই আর নিবন্ধন করেননি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে আটবার সময় বাড়িয়ে এবং একদিনের বিশেষ সুযোগ দিয়েও কোটা পূরণে ৬ হাজার ৭০৭ জন ঘাটতি থেকে যায়।