বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের অংশ হিসাবে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকার ১০০ কিলোমিটার বিতরণ লাইন খুঁটি থেকে সরিয়ে মাটির নিচে নেওয়া হচ্ছে।
ডিপিডিসির আওতাধীন এই বিতরণ এলাকায় ৩৪টি সড়কের দুই পাশের গ্রাহকরা ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বা মাটির নিচ দিয়ে পাঠানো তার থেকে বিদ্যুৎ পাবেন বলে আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ধানমণ্ডি এলাকায় চলমান এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি করতে ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থা কার্যকরি অবদান রাখবে। ঢাকাসহ সব বড় বড় শহরে ওভারহেড বিতরণ লাইন পর্যায়ক্রমে ভূ -গর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া হবে।
‘স্মার্ট সিটি’ বিনির্মাণে বিদ্যুৎ বিতরণ, সঞ্চালন ও উৎপাদন ব্যবস্থা স্মার্ট করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যত্রতত্র বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার শহরের সৌন্দর্য হানি ঘটাচ্ছে। বিতরণ ব্যবস্থা ভূ-গর্ভস্থ করা তাই সময়ের দাবি।
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে জানান হয়, ধানমণ্ডি এলাকার ৩৪টি রোডের (পূর্বে মিরপুর রোড, পশ্চিমে সাত মসজিদ রোড, উত্তরে রোড-২৭ এবং দক্ষিণে রোড-০১) ওভারহেড বিতরণ লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই এলাকার বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৩০ মেগাওয়াট। আগামী ২৫ বছরের লোড গ্রোথ বিবেচনায় এই এলাকার আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ব্যবস্থার নকশা করা হয়েছে।
ধানমণ্ডির গ্রাহকদের ওভারহেড লাইন থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সংযোগ প্রদানের জন্য আরএমইউ (উচ্চচাপ সংযোগ ও ইন্টার কানেকশন) এবং বক্স টাইপ ট্রান্সফরমার ও এলভি বক্স (নিম্নচাপ সংযোগ) স্থাপন করে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই কাজে প্রায় ২৭০টি আরএমইউ, ৩৬টি বক্স টাইপ ট্রান্সফরমার, ১৩০টি এলভি বক্স এবং প্রায় ১০০ কিলোমিটার কেবল স্থাপন করা হবে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা ।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ধানমণ্ডি এলাকার ওভারহেড বিতরণ লাইন ভূ -গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তরের কাজ শেষ বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)