ঢাকার নবাবগঞ্জে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন মারা গেছেন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয় বলে র্যাব জানিয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল র্যাবের এয়ার উইংয়ের পরিচালক ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
আর্মি এভিয়েশনের বেল-২০৬ হেলিকপ্টারটি গত ২৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি ধানক্ষেতে পড়ে।
তখন আইএসপিআর বলেছিল, “হেলিকপ্টারটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনার অংশ হিসেবে ‘ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং প্রসিডিউর’ অনুশীলন করার সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।”
হেলিকপ্টারটিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইলের সঙ্গে ছিলেন মেজর শামস। দুর্ঘটনার পর দুজনকেই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ইসমাইলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫ অগাস্ট সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
র্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পরের দিন তার মেরুদণ্ডে সফল অস্ত্রোপচার করা হলেও শারীরিক অন্য জটিলতার কারণে তার অবস্থার অবনতি হয়। মঙ্গলবার ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ শোক প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।