“গোলাগুলির কথা শুনেছি; কিন্তু কারো গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাইনি", বলেন চকবাজার থানার ওসি।
Published : 10 Mar 2025, 11:55 PM
পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের একটি মার্কেটের ‘চাঁদাবাজি’ নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
চকবাজার থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, সোমবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে নলগোলা এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
“হাজী সেলিমের মালিকানাধীন ‘এমটিসি’ মার্কেটের দখল নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। গোলাগুলির কথা শুনেছি; কিন্তু কারো গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাইনি।"
ওসি বলেন, "এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।"
তবে আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানাননি তিনি।
স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, সংঘর্ষে জড়ানো দুটি পক্ষই যুবদলের রাজনীতি করে।
এ ব্যাপারে ওসি বলেন, “তারা কোনো রাজনৈতিক গ্রুপের কিনা, আমরা নিশ্চিত নই। আমরা জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।"
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, "চাঁদাবাজি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে কয়েকজন আহত হন।
"এক গ্রুপ চাঁদা তুলতে গেলে আরেক গ্রুপ বাধা দেয়। এ নিয়েই সংঘর্ষ। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা বলে জানা গেছে।"
লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, "স্থানীয় কিছু ছেলেপেলে; ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী, আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দৌড়াদৌড়ি করে ছুরি মারামারি করেছে।"
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, "দুই পক্ষের এখন পর্যন্ত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। কয়েকজন বেশ আঘাত পেয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।"
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর গত ১ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন হাজী সেলিম।
হাজী সেলিম ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান।
২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকেট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন হাজী সেলিম। নৌকার প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি হওয়ার পর সংসদের ১৬ জন স্বতন্ত্র সদস্যকে নিয়ে জোট গঠন করেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন হাজী সেলিম।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আর দাঁড়াননি। আসনটি নিজের করে নেন তারই জ্যেষ্ঠ পুত্র সোলায়মান, যাকে গত ১৩ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।