গত ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস পদে ২১৬৩ জনকে এবং একই সঙ্গে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়; কিন্তু নন-ক্যাডার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
Published : 05 Feb 2024, 07:56 PM
৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণদের তালিকা ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে জারি করা রুলে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত যত নন-ক্যাডার শূন্যপদ হবে, তার তালিকা করে ৪৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণদের থেকে নিয়োগের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। সঙ্গে ছিলেন বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার ও সোলায়মান তুষার।
আইনজীবী হুমায়ন কবির পরে সাংবাদিকদের বলেন, “নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ না করা এবং ফলাফল প্রকাশের আগেই নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পছন্দক্রম আহ্বান করা সংশ্লিষ্ট নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
“আদালত সরকারি কর্মকমিশনকে (পিএসসি) ৩০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে।”
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ক্যাডার পদে সুপারিশ পাননি এমন ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থী গত ২৯ জানুয়ারি এ রিট আবেদন করেন। রিটে পিএসসি চেয়ারম্যান ও জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
তাদের আবেদনে বলা হয়, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরে ওই বিসিএসে মোট ৯৮৪১ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পিএসসি ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নন-ক্যাডার পদে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন প্রার্থীদের অনলাইনে পছন্দক্রম আহ্বান করে। গত ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস পদে ২১৬৩ জনকে এবং একই সঙ্গে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। অথচ নন-ক্যাডার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যেটি ‘নন ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর পরিপন্থি।