রেওয়াজ ভেঙে কিছু বিদেশি নেতাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। দক্ষিণপন্থি নেতারা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছেন।
Published : 16 Jan 2025, 10:01 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ঢাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম বাংলাদেশের তরফে অংশগ্রহণ করবেন।”
নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ ও অভিষেক অনুষ্ঠানের রেওয়াজ ভেঙে কিছু বিদেশি নেতাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। দক্ষিণপন্থি নেতারা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছেন বলে লিখেছে পলিটিকো ইইউ।
নিরাপত্তার কারণে এ অনুষ্ঠানে সাধারণত কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তারা নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
রয়টার্স লিখেছে, ট্রাম্পের কড়া সমর্থক, আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলে, হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবান, ইতালির জর্জা মেলোনি অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমন্ত্রণ পেলেও যাচ্ছেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে খবর দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যে রীতি আছে, সেই রীতি অনুযায়ী সেখানে বিদেশি মিশন প্রধান যারা আছেন, তারা সবসময় দাওয়াত পেয়ে থাকেন। এবারও একই রীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
“আমাদের কাছে যে সরকারি চিঠি আছে, সেই চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি মিশন প্রধান যারা আছেন, তারাই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।”
ভারতে শেখ হাসিনার নগারিকত্বের ‘তথ্য নাই’
গত অগাস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দিল্লীতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি-না, সে বিষেয়ে কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র রফিকুল আলম।
ভারতে শেখ হাসিনার ‘স্ট্যাটাস’ নিযে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “তিনি কোন স্ট্যাটাসে ভারতে আছেন, এটা আসলে ভারত সরকারের বিবেচনাধীন বিষয়।”
ভারতের সঙ্গে হওয়া দ্বিপক্ষীয় চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, “বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয় ও সংস্থা পর্যালোচনার প্রয়োজন অনুভব করলে, তার তা উত্থাপন করতে পারে।”
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, তার সব চুক্তি প্রকাশিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে, এগুলো পাবলিক ডোমেইন।”