“আপাতত একটা বুথ ওপেন করেছি আজ। কয়েকদিনের মধ্যে বাকি চারটা বুথ চালু করব। মহাখালীর টোলপ্লাজা পরে চালু করব।”
Published : 15 Aug 2024, 07:22 PM
কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় বন্ধ থাকা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী টোলপ্লাজায় টোল আদায় শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে সেখানে ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে টোল আদায় শুরু হয় এবং ওই টোলপ্লাজা দিয়ে যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা শুরু হয়।
ঢাকার প্রথম এই উড়ালপথের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক হাসিব হাসান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপাতত একটা বুথ ওপেন করেছি আজ। কয়েকদিনের মধ্যে বাকি চারটা বুথ চালু করব। মহাখালীর টোলপ্লাজা পরে চালু করব।”
এর আগে গত রোববার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর, কুড়িল, তেজগাঁও ও বনানী টোলপ্লাজা চালু করা হয়।
কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীর টোল প্লাজা ভাঙুচর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে মহাখালীর টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়া হয়।
আগুনে টোল প্লাজার ছাউনি, টোলের বুথ এবং অপারেটিং সিস্টেম পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খুলে নিয়ে যাওয়া হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, কম্পিউটারসহ যন্ত্রপাতি।
সেদিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। সেদিন থেকেই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে টোল আদায় বন্ধ ছিল এতদিন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। সংযোগ সড়কসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন। এতে যান চলাচল শুরু হয় পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর।
এরপর চলতি বছরের ২০ মার্চ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র্যাম্প খুলে দেওয়া হয়।