“দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
Published : 23 Sep 2024, 07:44 PM
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মো. এনামুর রহমান ও বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাইয়ূল কাইয়ূমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন –দুদক।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক বলছে, হাইয়ূল কাইয়ূম চাকরিতে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা দুর্নীতির মাধ্যমে ‘বিপুল’ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
২০০৯-১০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাইয়ূল কাইয়ূম। তার মোট স্থাবর সম্পদের দাম চার কোটি ৬০ লাখ টাকা। পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের পর চাকরির সঞ্চয় দিয়ে ওই পরিমাণ সম্পদ অর্জন ‘কোনোভাবেই সম্ভব নয়’ বলে মনে করছে দুদক।
সাবেক এমপি এনামুর রহমানের নগদ জমা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে প্রায় ৬ কোটি টাকার। এছাড়া এনাম মেডিক্যাল হসপিটাল, এনাম এডুকেশন এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ এবং এনাম ক্যান্সার হসপিটালে তার কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
তিনি ‘অবৈধভাবে’ এই অর্থের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে।