ফারুক খান বলেন, “আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোনো কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়েনি।”
Published : 07 Jul 2024, 08:21 PM
বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য উড়োজাহাজ কেনা হবে, তা মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে রোববার সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের কাছে বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই উড়োজাহাজ বিক্রি করতে প্রতিযোগিতা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে।
“তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন এখনো শেষ হয়নি। মূল্যায়ন শেষ হলে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনব।”
দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, “প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে যেটি আমাদের জন্য ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে, তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীতকরণ ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি বলেছি, এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম।
“আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে।”
এক প্রশ্নে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।
“আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোনো কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়েনি। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।”