বৈঠক ও আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুর সংক্ষিপ্ত এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
Published : 04 Oct 2024, 09:34 PM
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসাবে ঢাকায় এসে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ঝটিকা সফর শেষে দেশের পথে রওনা হয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আনোয়ার ইব্রাহিমকে বহনকারী বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। দুপুর সোয়া ২টায় তিনি বাংলাদেশে অবতরণ করেছিলেন।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থার জানান দিতে পাকিস্তানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ফেরার পথে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশে আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার চার দশকের পরিচয় ও বন্ধুত্বের বিষয়টি উঠে আসে তাদের বক্তব্যে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নেন, তাকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রথম ফোনটি এসেছিল প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছ থেকে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রায় দুই মাসের মাথায় বিদেশি কোনো সরকার প্রধানের প্রথম সফরেও ঢাকা ঘুরে গেলেন তিনি।
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বিমানবন্দরে গার্ড অব অনারে আনুষ্ঠানিকতা সারার পর কিছু সময়ের জন্য একান্ত আলাপে বসেন দুই সরকার প্রধান। এরপর একই গাড়িতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের স্থান হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পথ ধরেন।
বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। এরপর চা চক্র পর্ব শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বঙ্গভবনে যান তিনি।
বঙ্গভবনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেশের পথ ধরেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। অতিথিকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসসহ সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা।
বৈঠক ও আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুর সংক্ষিপ্ত এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। শ্রমিক হিসাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়া ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে আবারও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির সরকারপ্রধান।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী, পরিবহন উপমন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক উপমন্ত্রী, দুইজন সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।