কালোবাজারিদের হাতে আগামী ১০ দিনের প্রায় ৫০০ টিকেট আছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
Published : 14 Jun 2024, 01:19 PM
ঈদের সময় বিভিন্নজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফোন নম্বর ব্যবহার করে ট্রেনের টেকিট সংগ্রহের পর ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেসব বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে।
টিকেট কালাবাজারিতে জড়িত এমন দুইটি চক্রের ১২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, চক্র দুটি আগামী ১০ দিনের প্রায় ৫০০ টিকিট কেটে রেখেছে।
শুক্রবার কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-৩ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।
তিনি বলেন, “সোহেল ও আরিফুলের দুইটি চক্র ঠাকুরগাঁও ও ঢাকা থেকে টিকেট কালোবাজারি পরিচালনা করত। গতকাল রাতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি।
“আমরা ঢাকা থেকে ১০ জনকে আর দুইজনকে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করেছি।”
ফিরোজ কবীর বলেন, “এখানে দুই ধরনের চক্র। একটি চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা অন্যজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখত। পরে ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করত। আগ্রহী ক্রেতাদের সফট কপি পাঠিয়ে দিয়ে বিকাশ, নগদে টাকা বুঝে নেয়।
“এমন চক্রের দুইজনকে মৌচাক মোড়ের আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। এদের একজনের নাম মানিক ও আরেকজনের নাম বকুল। তাদেরকে কাছ থেকে জানতে পারি, মানিক মূলত সোহেল নামের একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু রায়হান ও আনিস নামের আরও একজনের সঙ্গে এই কালোবাজারি ব্যবসায় আসে।”
তিনি বলেন, “তাদের কাছে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া গেছে। এগুলোর হার্ড ও সফট কপি রয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিট ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে।”
র্যাব কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর বলেন, “মানিক ও বকুলের মাধ্যমে আনিস ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। সেখানে ভুয়া সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেকগুলো টিকেট একসাথে কেটে নেওয়ার দায়িত্ব সে পালন করে।
“এদের বড় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে টিকেটের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আর ঢাকাতে যারা অবস্থান করছে তারাও একই কাজ করে আসছিল।”
তিনি বলেন, রায়হান ও আনিস টিকিট পাঠাত সোহেল ও মানিকের কাছে৷ আর মানিক ও বকুল ফেইসবুক পেইজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করত।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী আরিফুল ইসলামও রয়েছেন।
তিনিও একটি চক্র চালান বলে দাবি করে র্যাব কর্মসকর্তা ফিরোজ কবীর বলেন, বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী হলেও তার কাছ থেকে অন্যান্য ট্রেনের টিকেটও পাওয়া গেছে।
আরিফুল অনেকদিন ধরেই এই কাজ করছিলেন বলে জানান জানান তিনি।