“এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ, যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই পুনরাবৃত্তি মাত্র।”
Published : 29 Aug 2024, 12:54 AM
যাচাই-বাছাই না করে মিথ্যা বা ভুয়া মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার আন্দোলনের মিডিয়া উইংয়ের সমন্বয়ক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ করা হয়।
এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গত ‘১৭ বছরের’ ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের এই দীর্ঘ শাসনামলে তাদের সমর্থকদের দ্বারা অগণিত ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
“সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের সময়ে ফ্যাসিবাদী সরকার ইতিহাসের নিকৃষ্টতর গণহত্যা চালায়। কিন্তু ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগ এসব অপরাধের বিচার করেনি। বরং যারা অপরাধের ভুক্তভোগী তাদেরকেই হেনস্তা করা হয়েছে।"
জুলাই-অগাস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশা ব্যক্ত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফৌজদারি অপরাধ তামাদি হয় না। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে প্রতিটি অপরাধ এবং গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে। এসব বিচারের জন্য সারা দেশে ফ্যাসিবাদের সংঘটিত অপরাধ ও গণহত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
“কিন্তু আমরা গভীর বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী মামলা দায়েরকারীরা প্রকৃত আসামিদের বাইরে যাচাই-বাছাইহীনভাবে সাধারণ মানুষের নাম আসামির কলামে তালিকাভুক্ত করে মামলা দায়ের করছে। এভাবে যাচাই-বাছাই না করে গণহারে মামলা দায়ের করলে প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
“এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ, যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই পুনরাবৃত্তি মাত্র।”
তিনি বলেন, " আমরা মনে করি, ভুলক্রমে শত অপরাধী পার পেয়ে গেলেও কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে শাস্তি তো দূরে থাক বিন্দুমাত্র হয়রানি করাও সমীচীন নয়। যদি এমনটা হয় তাহলে আইন ও আদালতের সাথে উপহাস করা হবে এবং এটাই হবে সবচেয়ে বড় জুলুম।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে সরকার পতন পর্যন্ত আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতা কয়েকশ মানুষ নিহত ও বহু আহতের ঘটনায়, এমন কি কয়েক বছর আগের ঘটনাতেও এরই মধ্যে শত শত মামলা হয়েছে।
এসব মামলায় অর্ধলক্ষাধিক আসামি করা হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলায় নাম আসছে। আবার থানায় হামলার জন্য পুলিশের মামলাতেও অজ্ঞাতনাম হাজার হাজার মানুষকে আসামি করা হচ্ছে।