Published : 28 Jul 2024, 10:13 AM
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ‘জাতীয় পর্যায়ের এক নেতার’ চার লাখ টাকা দেওয়ার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওই চার লাখ টাকা পরে কাকে দেওয়া হয়েছে, নুর তা কীভাবে, কোন কাজে খরচ করেছেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।
হারুন বলেন, “নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালে একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ পাওয়ার পর ঢাকার বনানীতে সেতু ভবনে নাশকতা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২১ জুলাই তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পায় ডিবি।
সেই রিমান্ড শেষে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নুর কার কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন সে তথ্য হারুন সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, “তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। কী জন্য সেই টাকা নুরকে দিয়েছেন, সেসব বিষয়ে ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বর্তমানে পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। নুরের মত তাকেও সেতু ভবনে নাশকতা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, “গ্রেপ্তার আসামি ঘটনা সংঘটনের অর্থের যোগানদাতা, যা নিয়ে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও এর সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের নাম-ঠিকনা সংগ্রহ এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
পার্থর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, “পার্থর কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”