“তারা তাদের ফেইসবুক গ্রুপ হতে কমেন্ট দেখে তাদের সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাটিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তৈরি করে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করত। তারা এক লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত।”
Published : 23 Aug 2023, 07:20 PM
একটি প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাব বলছে, চক্রটি গত এক বছরে দুই কোটি টাকার জাল টাকা বাজারে ছেড়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল (৪৩), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে দিদার (৩০), মো. সুজন আলী (৪০) ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান (২১)।
তাদেরকে মঙ্গলবার রাতে ডেমরা, খিলগাঁও ও সবুজবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
বুধবার দুপুরে কারওয়ানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তাদের কাছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মূল্যমানের জাল টাকা, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, টোনার ও কার্টিজ, পেনড্রাইভসহ জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
কমান্ডার মঈন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গত এক বছর যাবৎ জাল নোট তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার মাধ্যমে জাল নোট বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এবং প্রায় দুই কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “চক্রের মূলহোতা আমিনুলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গ্রুপে অন্যদের সঙ্গে পরিচয় হয়। আমিনুলের নেতৃত্বে কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় তারা জাল নোটের ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে তারা মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সেখানে জাল নোট তৈরি ও ব্যবসার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য বিনিময় করে। এই মেসেঞ্জার গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে দিদার কাজ করত।
“আমিনুল জাল নোট তৈরিতে দক্ষ হওয়ায় সে নিজেই এই চক্রটি পরিচালনা করত এবং সে নিজে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পেনড্রাইভ, কাগজ, টিস্যু পেপার ও প্রিন্টারের কালিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করে। আমিনুল জাল নোট প্রিন্টিং করে দিদারকে দিত এবং দিদার চক্রের সদস্য সুজনকে সাথে নিয়ে নোট কাটিং ও বান্ডিল করত।”
তিনি বলেন, চক্রটি প্রতিদিন দুই থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট তৈরি করত।
“তারা তাদের ফেইসবুক গ্রুপ হতে কমেন্ট দেখে তাদের সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাটিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তৈরি করে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করত। তারা এক লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত।”
খন্দকার আল মঈন বলেন, আমিনুল রাজধানীর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। ওই পেশার আড়ালে তিনি জাল টাকা তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করেন।