ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো গাছ কাটতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রকৃতির জন্য গাছের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হল, অনেকে গাছের গুরুত্ব বোঝে না।
“পরিবেশ রক্ষায় এবং জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন পেতে গাছের বিকল্প নেই। আমি বার বার বলেছি গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমি কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না৷ গাছ কাটার আগে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করতে হবে, কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ করতে হবে, আমাদের সাথে আলাপ করতে হবে।”
নগর সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় শক্তি ফাউন্ডেশন এবং মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে জাহাঙ্গীর গেট এবং বিজয় সরণি মোড় থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশে প্রায় ১৭ হাজার শোভা বর্ধনকারী গাছ রোপণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে আগামী এক বছর এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করবে শক্তি ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শাইখ সিরাজ বলেন, “কোন জায়গায় কোন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে এটি জানা খুব জরুরি। শহরে একসময় রাস্তায় শুধু ছায়া দেবে এমন জাতের গাছ লাগানো হত, পরে ফুল ও ফলের গাছও লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়৷
“শহরের সবুজায়নে সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, বিশেষ করে কাউন্সিলরদের। তাদের এই গাছগুলো দেখে রাখতে হবে। তবে জনগণের যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি বাড়ি, অফিস ভবন শীতল রাখতে ছাদে গাছ লাগাতে হবে। সড়কের মিডিয়ানে গাছ, চিত্রকর্ম দেখলে অনেক ভালো লাগে৷ এটি দারুণ উদ্যোগ।”
অন্যদের মধ্যে শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর হামিদা আক্তার এবং মেটলাইফ বাংলাদেশ এর যুগ্ম নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।