লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ আসনের উপ নির্বাচনে অনিয়ম হওয়া তিন কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ফলাফলের গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সেই সঙ্গে লক্ষ্মীপুরে অনিয়মে সম্পৃক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন, ১৯৯১’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানান সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
৫ নভেম্বর ভোট হয় এ দুই উপ নির্বাচনে। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে একটি কেন্দ্রে সিল মারার ভিডিও প্রকাশ হলে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনেও একটি কেন্দ্রে অনিয়মের তথ্য প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এরপর নির্বাচন কমিশন ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করে।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছিল যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সে তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন পেয়েছে।
তিনি জানান, লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ খাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভোটক্ষের জালভোটের কিছু ছবি গণমাধ্যমে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ওই একটি কেন্দ্রে ভোটের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে।
“ইসি এর আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- দুই জনকে শনাক্ত করা হয়েছে জালভোটের জন্য। তাদের বিরুদ্ধে আরপিও অনুযায়ী মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ওই দুই বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সচিব বলেন, “ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন রিটার্নিং অফিসার ওই কেন্দ্রের ভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফলাফল বিবরণী পাঠালে কমিশন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কারণ, ওই কেন্দ্রের ভোটে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান বেশি হওয়ায় ফলাফল বিবরণী পেলেই লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের গেজেট করবে।
“এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ নির্বাচনে দুটো ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কেন্দ্র দুটি হচ্ছে যাত্রাপুর নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও শরিপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।”