৮৩ বছর বয়সী মাহবুব জামিল বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
Published : 16 Nov 2022, 10:52 AM
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, ব্যবসায়ী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি মাহবুব জামিল মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাত ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মাহবুব জামিলের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
তার ছেলে রুবায়েত জামিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাবা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। এর মধ্যে ফুসফুসের সমস্যাটা বেশি ভোগাচ্ছিল। গত ২৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম।”
এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন মাহবুব জামিল। বুধবার জোহরের নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে এবং বেলা আড়াইটায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দার নামাজ হবে। পরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
২০০৮ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে মন্ত্রী মর্যাদায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব জামিল।
সিঙ্গার বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, আইসিই রিটেইল ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড, আইএল ক্যাপিটাল লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা মাহবুব জামিল সর্বশেষ রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা ছিলেন।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ-এর এই নির্বাহী সদস্য মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স এবং মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স সার্ভিসেসেও (মাইডাস) দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন সময়ে।
প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মাহবুব জামিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ড ছাড়াও, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের প্রেসিডেন্ট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলচ্চিত্র, সমাজবিজ্ঞান এবং নাটক সঙ্কলনের ওপর কিছু প্রকাশনাও রয়েছে তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান ও সাংবাদিকতায় মাস্টার্স করা মাহবুব জামিল ১৯৮৪ সালে ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্যার জগদীশচন্দ্র স্বর্ণপদক এবং ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক পান।