একটি খুনের মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
Published : 17 Jun 2023, 04:27 PM
ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির লাশ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ, আসা-যাওয়া করছিলেন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা, তবে তাদের কেউ কিছুই বলছিলেন না।
শনিবার ইনস্টিটিউটের একটি কক্ষে রাখা ওই লাশ নিয়ে পুলিশের তৎপরতা দেখে চিকিৎসাকর্মীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম আলাল উদ্দিন। ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি শুক্রবার সন্ধ্যার পর মারা গেছেন।
আলালের কোনো স্বজনকে হাসপাতালে দেখা যায়নি।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার দুপুরেও লাশটি হাসপাতালেই ছিল, আর তা ঘিরে থাকা পুলিশ সদস্যরা কাউকে সেদিকে যেতে দিচ্ছিলেন না।
শেরেবাংলা নগর থানা এবং তুরাগ থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সেখানে গেলেও তারাও কোনো কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না।
বেলা ৩টা পর্যন্ত ওই লাশের কোনো সুরতহাল হতেও দেখা যায়নি।
পুলিশে খবর নিয়ে জানা যায়, এই ব্যক্তিকে এক সপ্তাহ আগে গত ১০ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গত ৬ জুন তুরাগ থানা এলাকার বাউনিয়ায় ফাতেমা আক্তার (৩৩) নামে এক নারী হত্যার মামলায় সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার করা হয় আলালকে। যে বাড়িতে ওই নারী খুন হন, আলাল সেই বাড়ির দারোয়ান। ওই মামলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আলালকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার আগে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে ছিলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার ফারুক হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি ডিবির মামলার আসামি। ডিবি যখন তাকে ধরে তখনই তার পা ভাঙা ছিল। পরে আদালতের আদেশের ভিত্তিতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পঙ্গু হাসপাতালে ৫-৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার এক পর্যায়ে তার রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। তখন পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে রেফার্ড করে।
হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে তার মৃত্যু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “যে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।“
পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার কারণ কী ছিল- জানতে চাইলে অন্য পুলিশ সদস্যরা বলেন, গ্রেপ্তারের সময় আলাল আহত হয়েছিলেন।
তবে তিনি কীভাবে আহত হন, সে বিষয়ে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মুখ খুলছেন না।