বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন। দুইপক্ষের যুক্তিতর্ক, সওয়াল শেষে আসবে রায়ের তারিখ
Published : 12 Jul 2023, 05:43 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হয়েছে। মামলাটির বিচার দ্রুতই শেষ হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে।
ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে বুধবার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামি সুকুমার মৃধা ও তার কন্যা অনিন্দতা মৃধার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
বৃহস্পতিবার এই জেরা শেষ হবে। বাকি আসামিদের পক্ষে জেরা এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দ্রুতই শেষ হবে মামলার বিচার।”
এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এদিন ষষ্ঠ দিবসের মত জেরার মুখোমুখি হলেন। এদিন তাকে আসামিদের আয়কর নিয়ে প্রশ্ন করেন আইনজীবী।
মার্চে অথবা এপ্রিলে এ মামলার বিচার শেষ হবে বলে জানুয়ারির শেষে আশা প্রকাশ করেছিলেন আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম।
কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আরও সাক্ষ্য দেবেন বলে জানানোর কারণে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্কের জন্য দিন রাখা যায়নি। ফলে রায় প্রকাশের সুযোগও আসেনি।
বুধবার কারাগারে আটক চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলাটিতে রাষ্ট্র পক্ষে ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। সেদিন আসামিরা নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী হাজির করতে পারবেন। অথবা সাফাই সাক্ষ্য না দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে দেওয়া সাক্ষ্যর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন। পরে হবে দুইপক্ষের যুক্তিতর্ক, সওয়াল। এরপর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসবে।
এ হামলায় পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক। হালদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বন্দি। অন্য আসামিরা হলেন তার মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। ওই অর্থ বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন।
তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।