উৎসব ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোরদার করা হবে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রলিং।
Published : 17 Dec 2024, 07:36 PM
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট নির্বিঘ্নে উদযাপনের প্রত্যাশা তুলে ধরে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) আলমগীর আলম বলেছেন, খ্রিষ্টানদের এই দুই উৎসবে বরাবরের মতো এবারও ফানুস, পটকা কিংবা আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন দুই উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা হয়।
সভায় আলমগীর আলম বলেন, “বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।”
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কৌশলগত স্থানে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম মোতায়েন থাকবে।
উৎসব ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য জোরদার করা হবে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং।
গির্জাগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদেরকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পর্যাপ্ত আলো, জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানানো হবে।
এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা উপস্থিত ছিলেন।