“যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন মানে না, তারা আবার কী রাজনীতি করবে?”
Published : 12 Feb 2024, 09:20 PM
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
সোমবার সংসদে রাষ্ট্রিপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম বলেন, “এরা রাষ্ট্রের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু। সন্ত্রাসী, জঙ্গী, স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাতের নিষিদ্ধের দাবি করছি।”
এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনিই এটা পারবেন। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধীদের নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এটা একটা জঙ্গি, সন্ত্রাসী, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা সংবিধানকে তোয়াক্কা করে না। যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন মানে না, তারা আবার কী রাজনীতি করবে?”
সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি বলেন, “প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। সোলারে হোক বা গ্রিড কানেক্টিভিটিতে হোক, সেই জায়গায় আমরা পৌঁছে গেছি।
“বিদ্যুতের সাথে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশ বিশ্বে বিশেষ করে সোলার হোম সিস্টেমে এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন। প্রায় ৫০-৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি কাজ করছে। এটা অভূতপূর্ব সাফল্য।”
তিনটি বিষয়কে প্রাধ্যন্য দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এফোর্টিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে আমরা বিদ্যুৎকে এফোর্টেবল করতে পারে, নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, রিলায়েবল রাখতে পারি- এই তিনটি জিনিসকে মাথায় রেখে আমরা আবার একটা রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি। যেখানে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি।।”
গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে পাঁচটি গ্যাসফিল্ড বিশেষ করে ভোলায়, শাহাজাদপুর, ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস কিভাবে আমরা বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে পটুয়াখালীসহ যশোরে সংযোগ দেব, যশোরের সাথে কিভাবে রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনের সাথে সংযোগ করব, তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।”
নসরুল হামিদ বলেন, “ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুর পুরো অংশে গ্যাস লাইন নিয়ে বরিশালের সাথে সংযোগ করব। অর্থাৎ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বৃহত্তর ফরিদপুরে যেসব শিল্প এলাকা আছে সেখানে যেন আমরা গ্যাসের সংযোগ দিতে পারি তারও আমরা ব্যবস্থা করছি। নতুন করে প্রায় ৪২ ইঞ্চি দুইটি পাইপ লাইন চিটাগাং থেকে তৈরি হচ্ছে, যাতে ঢাকায় যে গ্যাসের অভাব দেখা গেছে সেটি আমরা সমাধান করতে পারি। ”
তিনি বলেন, “গভীর সমুদ্রে গ্যাস আহরণের জন্য এ বছর নতুন করে যে পিএসসি চুক্তি করেছি, সেটার সূত্র ধরে আমরা এখন টেন্ডারে যাব।”
এর আগে বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।