“আমাদের নীতি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব বজায় রাখা। আলোচনা ও সহযোগিতা চালিয়ে যেতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে।”
Published : 13 Aug 2024, 12:07 AM
বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয় হিসাবে অভিহিত করে অন্তর্বতী সরকারের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মনতিৎস্কিও।
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্ট তৌহিদ হোসেনের ব্রিফিংয়ে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বগ্রহণ এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপট তুলতে ধরতে কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনারসহ পাঁচ ডজনের বেশি কূটনীতিক এতে অংশ নেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার লিখিত বক্তব্যের পর কূটনীতিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নে ইয়াও ওয়েন বলেন, “এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের নীতি হচ্ছে, আমরা অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। এবং আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে স্বাগত জানাই।”
তিনি বলেন, “আমাদের নীতি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব বজায় রাখা। আলোচনা ও সহযোগিতা চালিয়ে যেতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে।”
ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার মনতিৎস্কিও ক্ষমতার পালাবদলকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসাবে অভিহিত করেন। তবে তিনি এর চেয়ে বেশি কথা বলতে চাননি।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছ থেকে আমরা খুব ভালো বিবৃতি পেয়েছি, যিনি আমাদের অনেকের কাছে খুব পরিচিত ব্যক্তি। আমরা খুব ভালো বৈঠক এবং আলোচনা করেছি।”
তিনি বলেন, “এই অভ্যুত্থানের পর দেশে নতুন রাজনৈতিক এজেন্ডা এসেছে। বর্তমান সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
“আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তরুণদের বক্তব্য শোনা। আমি মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
পরিস্থিতি শান্ত হতে আরও সময় লাগবে বলেও এক প্রশ্নে মত দেন রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।