এবার ধানের সংগ্রহ মূল্য ঠিক করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা।
Published : 07 May 2024, 05:08 PM
সরকারি গুদামে ধান দিতে এসে কোনো কৃষক যাতে ধানের আর্দ্রতা পরীক্ষায় বা অন্য কোনো কারণে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, “কৃষক যাতে হয়রানি না হয়, সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে। যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধানটা পরীক্ষা করে আসবেন।
“আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে- তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন। যাতে কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়ার জন্য।”
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা সাংবাদিকদের বলেন।
এবার কৃষকের আগ্রহের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানের আর্দ্রতা পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য ডিসি ও কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে, তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
“অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। ওই নম্বরে কৃষক বা কোনো ব্যক্তি ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারবেন।"
এবার বোরো মওসুমে ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য ঠিক করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা। ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন জানান, এবার বোরো সংগ্রহ মওসুমে কেনাকাটা বাবদ সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।