বৃহস্পতিবার আরও দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার।
Published : 13 Mar 2025, 12:33 PM
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন' বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৃহস্পতিবার এক বার্তায় বলা হয়েছে, “আজ সে আরও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। দ্বিতীয়বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর হৃৎস্পন্দন ফিরেছে, তবে তার মস্তিষ্ক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না।
“কোমা স্কেল (জিসিএস) মাত্রা ৩, যা গভীর অচেতন অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। শিশুটির রক্তচাপ ও অক্সিজেনের মাত্রাও বিপজ্জনকভাবে কম।''
এর আগে বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর তরফে ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটি সেদিন চারবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছে। পরে সিপিআর (কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া- কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়ার মাধ্যমে তার অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে।
শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি কথা দুদিন আগে শোনা গেলেও বুধবার বিকালে আবার তার অবস্থার অবনতির খবর দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছিলেন, “সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।"
পরে সেনাবাহিনী শিশুটির সবশেষ অবস্থা তুলে ধরে লিখেছে, “স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।”
মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬ মার্চেই তাকে ঢাকা মেডিকেলের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা শনিবার জানিয়েছিলেন, শিশুটির অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে নেওয়া হয়।
রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।