“প্রবহমান ও গতিশীল রূপে নকশা তৈরি করেন সুমন বর্মণ। এ নকশা জলের শরীরের মত,” বলেছেন শিল্পী ও প্রদর্শনীর কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমান।
Published : 28 Jun 2024, 01:23 AM
প্রকৃতি, মানুষ ও জীবন- নানা অবয়ব ধরা দেয় সুমন বর্মনের শিল্পকর্মে, কাঠ খোদাই পদ্ধতিতে তরুণ এ শিল্পী যে ভাস্কর্য সৃষ্টি করেন তাতে যেন জলের রেখা ঢেউ খেলে যায়; যেমনটি তার চিত্রকর্মে দেখা যায় জলের নকশা।
ঢাকার লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে ৭ জুন থেকে চলছে ‘জলজ’ শিরোনামে সুমন বর্মনের দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী, যা ২৯ জুন শেষ হওয়ার কথা। তবে এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে এটি শেষ হবে ৫ জুলাই।
শিল্পী সুমন বর্মন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ৩৩টি শিল্পকর্ম রাখা হয়েছে প্রদর্শনীতে, যার মধ্যে ভাস্কর্য ১৯টি এবং চিত্রকর্ম ১৪টি।
২০১৪ থেকে নিজের কাজগুলো নিয়ে প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে জানিয়ে সুমন বর্মন বলেন, “১০ বছরে আমার শিল্পের একটা জার্নি এখানে দেখা যাবে। কলাকেন্দ্রে এর আগে একটা দলীয় প্রদর্শনীতে আমার শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছিল, সেখান থেকেই কলাকেন্দ্রে এই একক প্রদর্শনীটা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগ থেকে পাস করা সুমনের শিল্পকর্মগুলো শিল্পপ্রেমীদের মাঝে নতুন ভাবনার খোরাক যোগাবে বলে মনে করেন শিল্পী ও প্রদর্শনীর কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমান।
তিনি বলেন, “জ্যামিতিক আকার, কোণাকে ভেঙে সমতলকে অসমতল, প্রবহমান ও গতিশীল রূপে নকশা তৈরি করেন সুমন বর্মণ। এ নকশা জলের শরীরের মত। তার ভাস্কর্যে যেন খোদিত হয়ে থাকে জল।
“সুমনের শিল্পকর্মগুলো স্থির, অন্তর্মুখী, নির্লিপ্ত মনুষ্য শরীরসদৃশ্য আকৃতিগুলো কখনও দাঁড়ানো, উৎসুক ভঙ্গি, কখনও মেলে-হেলে, ঝুলে থাকায় অবস্থার জানান দেয়।”
সুমনের জলের নকশায় ত্রিমাত্রিক গড়নগুলো প্রকৃতি মানুষ আর তার স্থানিক অস্তিত্ব নিয়ে ভাবনা তৈরি করে বলেও মনে করেন ওয়াকিলুর রহমান।