প্রবন্ধগুলো মিষ্টি হাতে, কথার সুতোয় এমনভাবে বোনা হয়েছে যে সংবেদনশীল পাঠক এর মায়াজালে জড়িয়ে যাবেন। প্রবন্ধগুলো তার স্বভাবের কোমলতা আর তার বাচনিক সৌকর্য্যে মণ্ডিত।
Published : 06 Oct 2023, 06:50 PM
বাংলাদেশে ষাটের দশকটি ছিল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক—সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল। এই দশকের সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডও ছিল উল্লেখযোগ্য। আমাদের প্রধান কবি ও কথাসাহিত্যিকদের অনেকেই এই দশকেরই সন্তান। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সিকদার আমিনুল হক, মোহাম্মদ রফিক, আবুল হাসান, রফিক আজাদ, নির্মলেন্দু গুণ, আসাদ চৌধুরী ছিলেন সবচেয়ে আলোচিত। এদের অনেককেই আমরা হারিয়েছি। গতকাল আমরা কবি আসাদ চৌধুরীকেও হারালাম।
আবুল হাসান ছাড়া অন্য সবাইকেই আমার স্বচক্ষে দেখার, কারো কারো সাথে আড্ডা দেয়ার দুর্লভ ও গৌরবময় অভিজ্ঞতাও আছে। তাদের অনেকেরই স্নেহের পাত্র ছিলাম। এদের মধ্যে আসাদ ভাই ছিলেন ব্যক্তিত্বের মিষ্টতায় অনন্য। তার স্বভাবের কোমলতা ও মার্জিত রুচি আমাকে মনে করিয়ে দেয় হুয়ান রামোন হিমেনেসের সেই প্লাতেরোকে: “আকারে প্লাতেরো ছোট। নীচু দেহ তার, আর নরম তুলতুলে। গায়ে হাত রাখলে এত নরম তাকে মনে হয়, যেন তুলো দিয়ে তৈরি সে।” এমনই ছিলেন স্বভাবে। রূঢ়তাবর্জিত এক মিষ্টতায় গড়া ছিল তার মনের বৈশিষ্ট্য। কথা বলতে ভালোবাসতেন। কিন্তু তা বাচালতার আতিশয্য দোষে দুষ্ট ছিল না। তার কথা বলার একটা নিজস্ব ধরন ছিল। উচ্চারণ ছিল স্পষ্ট ও দানাদার। শব্দগুলোকে মুক্তোর মতো ঝলমলে মনে হতো। কটুক্তি ও রূঢ়তা ছিল তার স্বভাবের বাইরে। কথা বলে যেমন হাসাতে পারতেন, তেমনি হাসতেও পারতেন মনখুলে। এমন প্রসন্ন প্রকৃতির মানুষ আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি। তার কন্ঠস্বরও ছিল খুব আকর্ষণীয়। হয়তো এই জন্য তার কন্ঠে কবিতার আবৃত্তি শ্রুতিমধুর মনে হতো। তিনি টেলিভিশনে এক সময় শিল্প ও সাহিত্যের একটা অনুষ্ঠান করতেন। সেটা বিষয়ের কারণে জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল, যেহেতু মানুষ স্বভাবতই চটুলতাপ্রিয়, শিল্প সাহিত্যের মতো গুরুভার অনুষ্ঠানের জন্য মানুষের আগ্রহ থাকার কথা নয়, কিন্তু তার ওই কন্ঠের আকর্ষণীয় গুণ, কথার দরবারী ছাঁদ ও জেল্লা ওই অনুষ্ঠানটিকে ঠিকই জনপ্রিয় করে তুলেছিল। যেন কথার এক পদ্মপুকুর তিনি, থৈ থৈ করছে চারিদিক। যখনই কারো সাথে কথা বলতেন, বলতেন এমন এক মমতামাখানো স্বরে ও সুরে যেখানে তার মনের উজ্জ্বলতা ও ছন্দোময়তা স্পষ্ট হয়ে উঠতো। এই কারণে তার অনুষ্ঠানটি গুরুভার হওয়া সত্ত্বেও দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তার কবিতাও ছিল ওই কোমলতায় গড়া। বিষয় যত প্রখরই হোক না কেন,--অবশ্য সেরকম খুব কমই ছিল-- বলার ধরনটা ছিল অনেকটা বৈঠকী আর তুলতুলে গড়নের। তার কবিতা খুব প্রভাবসঞ্চারী ছিল না বটে, কিন্তু তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য ছিল। ওই রকম কবিতা পড়লে মনে হবে, এতো সহজেই লেখা যায়। আসলে যায় না। কারণ ওই সহজতা অর্জন অত সহজ নয়। কিন্তু যার স্বভাবেই ওই সহজের ধর্ম, তার পক্ষে ওরকম লেখা কঠিন নয়। প্রভাবসঞ্চারী না হলেও তার কয়েকটি কবিতা কিন্তু ঠিকই খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
যেমন, তার কবিতার এই পংক্তিগুলো আমাদের অনেকেরই মুখে মুখে ছিল:
আগুন ছিলো মুক্তি সেনার
স্বপ্ন—ঢলের বন্যায়—
প্রতিবাদের প্রবল ঝড়ে
কাঁপছিলো সব-অন্যায়।
এখন এ-সব স্বপ্নকথা
দূরের শোনা গল্প,
তখন সত্যি মানুষ ছিলাম
এখন আছি অল্প।
কিংবা প্রবল এই মিথ্যা ও প্রতারণার জগতে আমরা যখন মরীয়া হয়ে খুঁজে ফিরছি সত্যকে, তখন আসাদ চৌধুরী আমাদেরকে নিয়ে সত্যের সন্ধান বেরিয়ে পড়লেন। সত্যকে কি পাওয়া গেল কোথাও?
কোথায় পালালো সত্য?
দুধের বোতলে, ভাতের হাঁড়িতে! নেই তো
রেস্টুরেন্টে, হোটেলে, সেলুনে,
গ্রন্থাগারের গভীর গন্ধে,
টেলিভিশনে বা সিনেমা, বেতারে,
নৌকার খোলে, সাপের ঝাঁপিতে নেই তো।
চিৎকার তার স্বভাবে ছিল না, উচ্চনাদে তার আস্থা ছিল না। পেলব কন্ঠেই তিনি সমাজের অসংগতি আর মানুষের বিপথগামিতাকে ঠিকঠিক তুলে ধরেছিলেন তার কবিতায়।
ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আসাদ ভাইয়ের যত্নশীলতা ও কোমলতা শিশুসাহিত্যের জন্য খুব উপযোগী ছিল। ওদের হৃদয় ও মনস্তত্ত্বটা তিনি খুব ভালো জানতেন। এই কারণে ষাটের অন্য লেখকদের চেয়ে তার শিশুসাহিত্য সংখ্যায় যেমন বেশি, তেমনি তা সুপাঠ্য। কিছু কিছু বিদেশি শিশুসাহিত্য তিনি অনুবাদও করেছেন, তাদের মধ্যে সেন্ট এক্সুপেরির ছোট্ট রাজপুত্র অনুবাদে ও ভাষায় একটি সেরা গ্রন্থ। বেশ কয়েকটি জীবনীও লিখেছেন যেমন বঙ্গবন্ধু ও রজনীকান্তের জীবনী। আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নামে একটি ছোট্ট বইও।
তবে অনুবাদে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাড়ির কাছে আরশিনগর : বাংলাদেশের উর্দু কবিতা (২০০০),প্যালেস্টাইন ও প্রতিবেশী দেশের প্রতিবাদী কবিতা (২০০৫) এবং জার্মান কবিতা (২০১১) নামের তিনটি বই। বাংলাদের উর্দু কবিদের নিয়ে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে তিনিই বেশি কাজ করেছেন। তাদের অনেককে নিয়ে তিনি লিখেছেনও। উর্দুভাষী কবি হওয়ার কারণে আমরা ভ্রমবশত তাদেরকে উপেক্ষা করেছি। কিন্তু আসাদ ভাই আমাদের সেই ভুল ভাঙিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতিবাদী চরিত্রের উল্লেখ করে। তাদের কেউ কেউ যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন এবং কবিতাও লিখেছিলেন এনিয়ে তা আসাদ ভাই দেখিয়ে না দিলে এই ভুল আমার সঙ্গী হয়ে থাকতো বহুদিন। নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র এবং সাপ্তাহিক জয়বাংলা পত্রিকায় কাজ করেছেন। ফলে অন্যদেশের স্বাধীনতাকামী কবিদের প্রতি তার পক্ষপাত থাকবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। আর সেই কারণেই তিনি প্যালেস্টাইন ও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশের কবিতা অনুবাদ করে তার সেই পক্ষপাতকে তুলে ধরতে ভোলেন নি। জার্মানির কোলোনে ভয়েস অব বাংলা বিভাগে সম্পাদক হিসেবে তিনি বহুবছর কাজ করেছেন। এর ফলে এই দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির স্বাদ তিনি প্রত্যক্ষভাবে গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। জার্মান বহু কবিই ছিলেন তার পছন্দের তালিকায়। জার্মান ভাষা তিনি খানিকটা জানলেও, জার্মান কবিতার অনুবাদের মূল ভিত্তি ছিল ইংরেজি তর্জমা। কিন্তু নিজে কবি ছিলেন বলে মূল থেকে অনুবাদ না করলেও, সেগুলোর অনুবাদে কাব্যরসের কোনো ঘাটতি ছিল না। বাংলাদেশে খুব সম্ভবত জার্মান কবিতার একক কোনো সংকলন এখনও পর্যন্ত আসাদ ভাইয়ের এই বইটিই। গ্যোয়েটে থেকে গুন্টরাম ফেসপার, মোট তিরিশ জন জার্মান কবির ৭৭টি কবিতা অনুবাদ করেছেন। অনেকেই তার কবিতা কিংবা শিশুসাহিত্য নিয়ে মনোযোগী হলেও তার কবিতার অনুবাদগুলোয় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছেন কম। ফলে, তার অনুবাদ সত্তার মূল্যায়ন সেভাবে হয়নি। একইভাবে তার প্রবন্ধ নিয়ে খুব একটা আলোচনা দেখা যায় না। তার কোন অলকার ফুল (১৯৮২, পুনর্মুদ্রণ: ১০৯৬) নামক বইটিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ আছে। বইটির শেষের দিকে আছে ফাদার দ্য তিয়েন আর মুহম্মদ এনামুল হক-এর সাক্ষাৎকার। আছে বুদ্ধদেব বসুকে দেখার অভিজ্ঞতার বয়ান। সুকুমার রায়, সৈয়দ মুজতবা আলী, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীমউদদীন, আলাউদ্দিন খাঁ, সুলতান, আব্বাসউদ্দীন প্রমুখ নিয়ে সুখপাঠ্য প্রবন্ধ। প্রবন্ধগুলো মিষ্টি হাতে, কথার সুতোয় এমনভাবে বোনা হয়েছে যে সংবেদনশীল পাঠক এর মায়াজালে জড়িয়ে যাবেন। প্রবন্ধগুলো তার স্বভাবের কোমলতা আর তার বাচনিক সৌকর্য্যে মণ্ডিত। প্রবন্ধ যদিও তিনি কমই লিখেছেন, তবে ওই স্বল্পতাকে তিনি ভাষিক ঐশ্বর্যে বিভূষিত করেছেন।
২
আসাদ ভাই অনুজদের প্রতি ছিলেন সবসময়ই স্নেহপ্রবণ ও প্রশ্রয়দাতা। আমি তার স্বভাবের মিষ্টতার স্বাদ বহুবার পেয়েছি। নব্বুই দশকের শুরুর দিকে আমার দুটি বই বের হয়েছিল বাংলা একাডেমি থেকে। সেই কারণে বাংলা একাডেমি যেতে হয়েছে বহুবার। পাণ্ডুলিপি ছাড়াও শুধু বড়দের সাথে দেখা করার জন্যও যেতাম কখনো কখনো। সুব্রত বড়ুয়া, ফরহাদ খান এবং আসাদ ভাই—এরাই ছিলেন আমার প্রধান আকর্ষণ। বাংলা একাডেমি থেকে বই বেরুচ্ছে শুনে তিনি খুব খুশী হয়েছিলেন। যখনই তার সাথে দেখা হতো পাণ্ডুলিপির অগ্রগতির খোঁজখবর তো নিতেনই, নতুন কি লিখছি, তার খোঁজখবরও রাখতেন। কোথাও কোনো লেখা প্রকাশিত হলে, যদি ভালো লাগতো তাহলে প্রাণখুলে প্রশংসা করতেন। আমি তার কোন অলকার ফুল বইটির খুব তারিফ করেছিলাম দেখে খুব খুশী হয়েছিলেন। একাডেমি ছাড়াও তার সাথে মাঝেমধ্যেই কোথাও না কোথাও দেখা হয়ে যেত। আর দেখা হলেই, কেমন আছ, রাজু? এখনও কি ওখানে কাজ করছ?
এরপর বহুদিন দেখা নেই তার সাথে। হঠাৎ করে, প্রায় ৯ বছর পার তার সাথে দেখা হয়ে গেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে। তিনি তো আমাকে দেখে বিস্মিত। আরে, তুমি এতদিন কোথায় ছিলে? বললাম, জীবিকা আমাকে প্রবাসী করেছে, আসাদ ভাই। অনেক কথা হয়েছিল সেদিন। আসাদ ভাইকে পেয়ে সেদিন তার সাথে একটা ছবিও তুলেছিলাম।
এরপর আমিতো দেশেই ফিরে এলাম পরের বছর। আমি ঠিক জানি না, আসাদ ভাই কবে থেকে কানাডা বাস করতে শুরু করেছিলেন। একবার গ্রন্থভুক্ত করার জন্য তার বিশেষ একটা কবিতা খুঁজছিলাম। না পেয়ে তাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বহুবার ফোন করেও পাচ্ছিলাম না। পরে লুৎফর রহমান রিটন ভাই তার সাথে সংযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিলেন। ভিডিও কলে তার সাথে সেই দফায় অনেকক্ষণ আলাপ হয়েছিল। বছর চার/পাঁচ আগে একবার তার সাথে দেখা হয়েছিল আমার ছেলেমেয়ে যে-স্কুলে পড়ে সেখানে। ওই স্কুল তাদের স্বাধীতনা দিবসে আসাদ ভাই প্রধান বক্তা হিসবে নিয়ে এসেছিলেন। কয়েকদিন আগে থেকেই তার আগমনের ঘোষণা দিয়ে স্কুলের প্রবেশপথে তার ছবি ঝুলিয়ে রেখেছিল। আমার দেখে খুব ভালো লেগেছিল যে এবার তার সাথে দেখা হয়ে যাবে। ওইদিনটি আমি স্কুলে গিয়েছিলাম তার বক্তৃতা শুনতে আর তার সাথে দেখা করতে। খুব ভালো বক্তৃতাও দিয়েছিলেন আমাদের স্বাধীতনা বিষয়ে। গোটা শ্রোতৃমণ্ডলী পিনপতনস্তব্ধতা নিয়ে তার বক্তৃতা শুনেছিলেন। বক্তৃতা ছিল কম করে হলেও ৪০ মিনিটের তো বটেই। কী অনর্গল ও সুবিন্যাস্ত ব্ক্তৃতা! সবাইকে মাতিয়ে দিয়েছিলেন তার বক্তৃতায়। বক্তৃতা শেষে তার সাথে গিয়ে দেখা করতেই তিনি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আরে,তুমি এখানে? বললাম, আমি তো এখানেই থাকবো, আসাদ ভাই। এখানে যে আমার ছেলে ও মেয়ে পড়াশুনা করে। আসাদ ভাইয়ের বিস্ময় ঘুচে যাওয়ার পর জানতে চাইলেন এখানে কোথায় থাকি এবং কেমন আছি। ঠিক যেমনটা তিনি সবসময়ই করে থাকেন। বললাম, চলূন, আমার বাসায় চা খাবেন। বেশি দূরে নয় এখান থেকে। কিন্তু আসাদ ভাইয়ের অন্য কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল বলে সেদিন আর আসেন নি, তবে পরে কখনো আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর কার কাছে যেন শুনলাম তিনি কানাডা চলে গেছেন। তবে প্রতি বছর না হলেও ঢাকায় এসেছেন বহুবার, কিন্তু আমার সাথে আর দেখা হয়নি কখনো। এই গত বছর যখন দেশে এসেছিলেন তখন একবার ফোনে আলাপ হয়েছিল। আমার খুব ইচ্ছে ছিল দেখা করার। পরে শুনলাম, কিছুদিন পরেই তিনি কানাডা চলে গেছেন। শেষের দিকে তার অসুস্থতার খবর পেতাম। সুস্থ হয়ে বাসায়ও ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তা আগে আবারও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থা সংকটজনক শুনে মনটা খুব খারাপ হয়েছিলাম। তবু, আশা করেছিলাম তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। সংকটজনক অবস্থা থেকে ফিরে এসেওছিলেন, কিন্তু এই ফেরাটা ছিল একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। অবশেষে গত ৫ অক্টোবর তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেলেন চিরতরে। আসাদ ভাই, আপনার মতো সদাহাস্য ও প্রসন্ন প্রকৃতির মানুষ আর কোথায় পাবো?