দাও দুঃখ আরো কষ্ট দিতে থাকো অনন্ত সময়
Published : 01 Dec 2024, 01:11 PM
গুঁড়ো গুঁড়ো
ক.
আগুন সে জানতাম!
নির্মম পুড়িয়ে দেবে
যদি ঝাঁপ দিই
জানা ছিল তাও
জেনেশুনে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে
পুড়ে টুড়ে ভস্ম হয়ে গেছি!
খ.
তৃষিতের ঠোঁটে তুমি
নির্বিবাদে তুলে দাও
উপেক্ষার আহুতি গরল
এতেও সে অসন্তুষ্ট নয়,
যা-ই হোক, কিছু তো পেয়েছে!
গ.
ভালোবাসি বলেই তো
লাবণ্য ও ঐশ্বর্যের সমুদয়
কান্তি শ্রী সকলই তোমার।
ভালোবেসে বঞ্চিত যে
তার কথা ঘুণাক্ষরে মনেও রাখোনি।
প্রতিপক্ষ যখন দুর্বল
চলে যাবে বলেই কি এসেছিল?
না এলে হতো না?
এসেছো দিয়েছো দাগা প্রাণভরে
তারপরও আশা পোরে নাই?
আর কতো পর্যুদস্ত দেখতে চাও
বন্ধুকে ভেবেছো শত্রু,
প্রতিপক্ষ মনে মনে সাজিয়ে নিয়েছো
তোমার দক্ষতা ভালো, চমৎকার
প্রশংসা পাওয়ারই যোগ্য
শত্রুরও কী সাধ্য আছে করে অস্বীকার?
এসেছিলে ভুল করে, ভুল ভাঙতে দেরি হয় নাই
না এলে অমন দুঃখ দিতে পারতে কাকে?
পাল্টা আঘাতের কোনো আশঙ্কাও নাই
ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া অতীব সহজ
যাকে ভাবলে প্রতিপক্ষ, তার তীব্র নাকানিচুবানি
হেনস্তা ও দুর্গতির চূড়ান্ত পর্যায়ে
দেখে তুমি চরিতার্থ, দয়িতা কী এ রকমই হয়?
যে দিয়েছে ফুল তাকে নির্বিকার বিঁধিয়েছো তীর
দাও দুঃখ আরো কষ্ট দিতে থাকো অনন্ত সময়
মুখ বুজে সহ্য করবে, ভুলেও তো নিন্দামন্দ নয়।
অপেক্ষা প্রহর
হাত ধরো।
বাস্তবে না পারো যদি
মনে মনে ধরো।
কেন করছো সংশয়ের অনভিজ্ঞ চাষ-
ভালোবাসা যখন জাগায় প্রাণ
একইসঙ্গে বুনেছে সে
আত্মদহনের জ্বালা, পূর্ণ রাহুগ্রাস।
ধরো হাতখানি,
পারবে না জানি।
তাও কাছে এসো
বামা হয়ে বোসো।
চোখ শান্তি মন শান্তি
জুড়াক জীবন
এসো চলো এ মুহূর্তে
প্রিয় সোনামন।
কুহকিনী মায়া
আগে থেকে আঁচ পাওয়া দায়
প্রস্থানের পাল তুলে
দূর গাঙে ঝঞ্ঝাতুর পাড়ি
জীবন তো খড়কুটো
ঘূর্ণিস্রোতে দূরে ভেসে যায়
ভাসতে ভাসতে শান্তি কি সে পায়?
অশ্রুপাত করে শুধু নিভৃতে নিঝুম
তার কী যে মরতবা
সিক্ত সে মায়ায়।
বোঝে না বলেই তেতো বিভ্রমের চাষ
অহেতুক অন্ধমূক কুহকে জড়ায়
প্রস্থানের পর্ব শুরু
দেয়া ডাকছে গুরুগুরু
আহ্বানও শোনা যাচ্ছে
আয় বাছা আয়!