জুলাই দিয়েছে ডাক-অভ্যুত্থান নিয়ত জাগর
Published : 13 Oct 2024, 03:21 PM
অবয়ব সম্পূর্ণতা পাবে
‘সমতল থেকে পাহাড়
এবারের মুক্তি সবার’
মুক্তির পিপাসা হলো অনন্ত-অসীম।
প্রথাগত ছোটো সংজ্ঞা কখনো যথেষ্ট নয়।
‘মুক্তি’ এক অপার আকাঙ্ক্ষাশব্দ
স্বপ্ন আর রক্ত ত্যাগে বহতা যে নদীস্রোত
তাকে তোমরা সীমিত গণ্ডিতে বাঁধবে
সে বাসনা একইসঙ্গে অলীক দুরাশা।
জুলাই দিয়েছে ডাক-অভ্যুত্থান নিয়ত জাগর
তার কোনো বিরতি বা সুপ্তি বলতে নাই।
নতুন চরের মতো আদিম ক্ষুধার মতো
সে পোড়ে একইসঙ্গে পোড়ায় জঞ্জাল
নতুন প্রত্যাশা ছন্দে জেগে থাকো বিনির্মাণ
আবেগ সংহত করে সম্পূর্ণতা তোমাকে দেবই।
দেখা-অদেখার দ্বন্দ্ব
ক.
দেখা না হওয়ার কষ্ট
ভেবেছি বলব তাকে
বলি বলি করে আর
সেই কথা বলাই হলো না!
কিন্তু সে কেমন করে
সব কথা বুঝে গেল,
যৎকিঞ্চিৎ ব্যথিতও হলো
আমার ম্লানতা কোন্ মন্ত্রবলে
দগ্ধতা শূন্যতা সবই
পৌঁছে দিল, মহারানি তোমার সমীপে
আমি উজবুক, তাই
এর কিছু বুঝতে পারিনি
খ.
দেখা যদি নাই হয়
স্পর্শসুখ, তজ্জনিত
ব্যথা ও বেদনা
উপলব্ধ হবে না হবে না!
গ.
সুখী হও, এই অভিশাপ
ভালোবেসে তোমাকে দিলাম
ভুলেও কখনো তুমি
জানতে চেয়ো না প্রিয়
বিনিময়ে আমি কী পেলাম!
রক্তে পুণ্যে সিক্ত ফিলিস্তিন
মরুর প্রান্তর কেন টাটকা রক্তে ভেসে যায়?
কেন এত আর্তনাদ,মনুষ্যত্ব মুখ থুবড়ে পড়ে?
আঁধারে ঝিকিয়ে ওঠে জালিমের খুনি হাত
রক্তের পিপাসা বুঝি এ জনমে ফুরাবে না আর!
বিশ্ববিবেকের ঘুম কিছুতেই ভাঙে না ভাঙে না,
চুপচাপ দেখে যাচ্ছে এই দৃশ্য নির্লিপ্ত ও উদাসীন
হায় ফিলিস্তিন, হায় নিজভূমে পরবাসী ভয়ার্ত মানুষ।
প্রতিশোধ ছাড়া নেই গত্যন্তর, কোনো ক্ষমা নয়
জীবনের মূল্য দিয়ে ছিনিয়ে আনতে হবে অনন্ত বিজয়
মরুর প্রান্তরে কোনো অপমৃত্যু ধ্বংসযজ্ঞ নয় আর,
জীবনের চর্চা তবে শুরু হোক নন্দিত ও স্বাভাবিক
এমন পৃথিবী চাই সাম্য ও সুন্দরে স্থিত,কল্যাণের ভিত
দৃঢ় হোক,এমন প্রার্থনা আর প্রতিজ্ঞায় প্রত্যয়ে সবল
হতে হবে যোদ্ধাদের, আপসের চোরাবালি দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয়
গোটা পৃথিবীই আজ ফিলিস্তিন উদ্যমী ও লড়াকু নিশ্চয়।
বুঝলা নাকি মন
বোঝা যায় না মনের গতিক
তারে লইয়া চমৎকার মুসিবতে আছি।
এই যে বিমারি
দাওয়াই আসলে কিছু আছে?
মন কেন আউলাঝাউলা এত
বাঁচতে চায় নির্লজ্জের মত?
মানুষ সীমিত প্রাণী
তার দৌড় বেশি কিন্তু নয়
দুশমনের মতো ওর আচরণ
তোমারে নাগালে পাইলে
এক হাত দেইখা লমু মন
কত ধানে কত চাইল
বুঝবা বাছাধন
কেন জংলা প্রেম প্রীতি
পাপচর্চা ভুইলা নিমজ্জন
পাখি ও শিশির দেইখা
আবেগে উচ্ছ্বাস শিহরণ
বুঝতে হবে বুঝতে চাই
বুঝলা নাকি মন?
অগ্নিসুখ পায় না মানুষ
একটু আধটু দুঃখ পাওয়া ভালো।
কিন্তু যদি পরিমাণে বেশি হয়ে যায়
সীমানা পেরিয়ে ভেঙে রীতি ও নিয়ম
তখন কী করা?
দুষ্পাচ্য এ দুঃখের দ্রবণ
মেখেজুখে ন্যুব্জ হয়ে
কতখানি বেঁচে থাকা যায়?
দুঃখবীজ বুনেছিল যে মানবী
সে হয়েছে অগম্য অতীত
কেন তাকে মনে করা
উসকে দেওয়া নিভু নিভু
আগুনের শত্রুতা ও শিখা
আগুনের তো দুঃখবোধ বলে কিছু নাই
মানবীর প্রেমকাঙ্ক্ষা সে শুধু পোড়ায়
সৃষ্টি করে ধু ধু চর
শূন্যতা যা ছায়ামায়াহীন
আগুন আশ্চর্য সুখী,
মানুষেরা সে রকম নয়
চাইলেও অগ্নি হতে পারা
সম্ভবপরও নয়...
অন্যরকম পাওয়া
কাকে বলে মরীচিকা
এতকাল জানা-বোঝা ছিল না ছিল না
জেনে বুঝে
কতো বড় ক্ষয়ক্ষতি
হয়ে গেল
হিসাব-নিকাশ করা সাধ্যের বাহিরে
ভেতরে একটা লাভ
হয়েছে গোপনে
জন্মশোধ নারীকে চিনেছি
নিজস্ব হবে না জানি
চাইলেও হতে পারবে না
এই সত্য পুরাটাই
উপলব্ধি সম্ভব হয়েছে।
তাকেও তো প্রাপ্তি বলে
গণ্য করা চলে!
তৃষিতের পংক্তিমাল্য
ক.
পিপাসারও তাপ আছে
সে জানে অঙ্গার হতে
ফুল ফোটানোর মতো
ইচ্ছাসাধ্য পিপাসার নাই।
তারপরও পিপাসার্ত হতে কেন
আমরা চাই, ভালোবাসি?
জানি না উত্তর।
খ.
চেয়ে চেয়ে
একটু শুধু
তোমাকে দেখতে চাই
বিব্রত হয়ো না।
মনে মনে সে রকমই চাও
তার পরও বাধা কেন দাও
বুঝতে পারি না!
বেকুব কাঙালে তুমি
একটুখানি
ভুলের প্রশ্রয় দিয়ো
মহাভারতের ওতে
অশুদ্ধি হবে না!
গ.
ফিরে তুমি আসবে না
পথ বন্ধ করেছো নিজেই
জানতাম, তার পরও
আশা ছিল
ক্ষীণায়ু সে আশা
সর্বনাশা বিচ্ছেদী আগুন
পুড়িয়ে দিয়েছে সব
স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ধু ধু ছাই
তাও কেন বেহায়া নির্বোধ হয়ে
তোমাকে আপন করে চাই
এর কোনো সার সত্য নাই!