এ বছরের পুরস্কারের জন্য আগামী ১৫ জুলাই থেকে পাণ্ডুলিপি আহবান করা হচ্ছে; জমাদানের শেষ তারিখ ১৫ নভেম্বর।
Published : 11 Jul 2024, 09:40 PM
প্রয়াত সাহিত্যিক শান্তনু কায়সারের নামে চালু হয়েছে ‘ঐতিহ্য-শান্তনু কায়সার সাহিত্য পুরস্কার’; প্রতি বছর সাহিত্যের পাঁচটি শাখায় এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ এবং ‘শান্তনু কায়সার স্মৃতি পাঠাগার ও চর্চা কেন্দ্র ‘সাজনমেঘ’ এর যৌথ উদ্যোগে এ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ‘ঐতিহ্য’ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
কবিতা, কথাসাহিত্য (গল্প/ উপন্যাস), প্রবন্ধ-গবেষণা, নাটক ও অনুবাদ পাণ্ডুলিপির জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রতিবছর পাঁচটি বিষয়ে জমাকৃত পাণ্ডুলিপির মধ্য থেকে সেরা তিনটি পাণ্ডুলিপির (পাঁচটির মধ্যে যেকোনো ক্ষেত্রের তিনটি সেরা পাণ্ডুলিপি) লেখককে ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে। সেরা তিনটি পাণ্ডুলিপি পরবর্তী বছর অমর একুশে বইমেলায় ‘ঐতিহ্য’ থেকে বই আকারে প্রকাশিত হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ত্রিশ বছর অথবা এর নিচে যেকোনো বয়সী জন্মসূত্রে বাংলাদেশি কবি-লেখক এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন।
এ বছরের পুরস্কারের জন্য আগামী ১৫ জুলাই থেকে পাণ্ডুলিপি আহবান করা হচ্ছে। জমাদানের শেষ তারিখ ১৫ নভেম্বর।
পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠা বা শব্দসংখ্যার সীমা নেই। [email protected] ঠিকানায় ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফরমেটে পাণ্ডুলিপি পাঠানো যাবে। ডাকযোগে হার্ডকপিও পাঠানো যাবে- ঐতিহ্য শান্তনু কায়সার সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪, ঐতিহ্য, ৩/১-এইচ পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ ঠিকানায়।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইতোমধ্যে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে এমন রচনা পাণ্ডুলিপি আকারে জমা দেওয়া যাবে না। কোনো রকম চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিলে অভিযোগ পাওয়া মাত্র বাতিল হবে। যেকোনো সুপারিশ বা অনুরোধ অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
প্রতিবছর শান্তনু কায়সারের জন্মদিন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। সেদিন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন নবীন বা প্রবীণ লেখক ‘শান্তনু কায়সার স্মারক বক্তৃতা’ দেবেন।
১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদপুরে জন্মেছিলেন শান্তনু কায়সার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি।
সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও প্রত্যাশা (সাহিত্য) পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি পুরস্কার ও অদ্বৈত সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
তার কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘রাখালের আত্মচরিত’ ও ‘শুভ সুবর্ণ জয়ন্তী’। ‘ফুল বাসে, পাখি ডাকে’ ও ‘অর্ধ শতাব্দী’ তার লেখা ছোটগল্পের সঙ্কলন। তার লেখা উপন্যাস ‘শকুন’ এবং নাটক ‘তুমি, ‘নাট্যত্রয়ী’ আলোচিত। তার প্রবন্ধ ও অনুবাদ নিয়েও বই প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল মারা যান তিনি।