রাশিয়ার বাহিনীগুলো দোনেৎস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করেছে বলে ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
Published : 06 Jul 2022, 12:12 PM
তারা জানান, রাশিয়া লুহানস্ক প্রদেশ জয় করার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার তাদের বাহিনীগুলো ব্যাপক গোলাবর্ষণের সমর্থন নিয়ে প্রতিবেশী অঞ্চলটিতে তীব্র লড়াইয়ে নেমেছে।
ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ সম্মিলিতভাবে দনবাস নামে পরিচিত। দেশটির শিল্প সমৃদ্ধ এ পূর্বাঞ্চলটি কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ দেখছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
রোববার লুহানস্কে ইউক্রেইনের শেষ ঘাঁটি লিসিচ্যাংস্কের দখল রাশিয়ার বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মস্কো এখন বিশেষভাবে প্রতিবেশী দোনেৎস্কের স্লোভেনস্ক ও ক্রামাতোর্স্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেবে।
এখন মূলত তাই হচ্ছে বলে তাদের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে লুহানস্ক অঞ্চলের প্রান্তসীমায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে বলে ইউক্রেইনের টেলিভিশনে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি হাইদাই। সিভারস্কি দোনেছ নদী পার হওয়ার উদ্যোগ নিতে সেখানে রাশিয়ার নিয়মিত সেনাবাহিনী ও রিজার্ভ বাহিনীগুলো পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, “তারা বেশ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সেনা সংখ্যা বাড়াতে সেখানে কিছু ব্যাটেলিয়নকে পাঠানো হয়েছে। সব আহতকেও নিয়ে যাচ্ছে না তারা। হাসপাতালগুলো আহততে ভরে যাচ্ছে, মর্গেও একই অবস্থা।
“লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক, উভয় অঞ্চলেই ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। তাদের পথে পড়া সবকিছুর ওপর গোলাবর্ষণ করছে তারা।”
তবে তার এসব বক্তব্য রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
মঙ্গলবার রাশিয়ার বাহিনীগুলো স্লোভেনস্কের একটি আবাসিক এলাকা ও বাজারে গোলাবর্ষণ করেছে, এতে অন্তত দুই জন নিহত ও সাত জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
“দোনেৎস্ক অঞ্চলে আর কোনো নিরাপদ এলাকা নেই, সব জায়গায় গোলা পড়ছে,” বলেছেন তিনি।
ইউক্রেইনের ‘নব্যনাৎসিদের’ মূলোৎপাটন ও সেখানকার রুশ ভাষীদের রক্ষার জন্য দেশটিকে নিরস্ত্র করতে সেখানে তারা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে বলে দাবি মস্কোর।
অপরদিকে এটিকে বিনা উস্কানিতে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রমণ চালানোর অজুহাত বলে অভিহিত করেছে ইউক্রেইন ও এর পশ্চিমা মিত্ররা।