ভারতে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দিল্লিতে মৃতদেহ সৎকারের জায়গার সংকট তৈরি হয়েছে।
Published : 30 Apr 2021, 02:41 PM
রাজধানী নয়াদিল্লি পুলিশ শ্মশানের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরে বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ এখন কোভিড। জায়গার অভাবে কোভিড আক্রান্তদের জন্য নয় এমন শ্মশানেই প্রিয়জনকে দাহ করছেন অনেকে।
“যে কারণে আমরা আরও শ্মশান বের করার জন্য বলেছি।”
বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। দৈনিক সংক্রমণে এপর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের রেকর্ড ছাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন।
একদিনেই রাজধানী নয়াদিল্লিতে মারা যান ৩৯০ জন। মহামারী শুরু পর একদিনের হিসেবে যা সর্বোচ্চ।
বিবিসি জানায়, নির্বাচনী সভা এবং ধর্মীয় সমাবেশের অনুমোদন দেওয়াসহ মহামারীর এ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা বাড়ছে দেশটিতে।
যদিও বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন, দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে কম মৃত্যুহার এবং অক্সিজেনের সরবরাহও ‘পর্যাপ্ত’ আছে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারী থামাতে লকডাউন আর করোনাভাইরাসের টিকাই হতে পারে একমাত্র পথ।
ভারতে শনিবার থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপদনকারী হলেও প্রাপ্তবয়স্ক ৮০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার মতো মজুদ তাদের নেই।
বেশ কয়েকটি রাজ্যে এরই মধ্যে টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মজুদ কমে যাওয়ায় টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে দুই কোটি মানুষের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই।
মুম্বাইয়ের নগর পুলিশ কমিশনার অশ্বিনী বিদ্যে টুইটে লিখেছেন, মজুদ টিকা ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য রেখে দেওয়া হবে।