কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাটির কাছে বেকএয়ারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৬০ জন।
Published : 27 Dec 2019, 08:39 AM
আলমাটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ফ্লাইটে ৯৩ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু ছিলেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে আলমাটি বিমানবন্দর থেকে কাজাখস্তানের রাজধানী নূর সুলতানের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, উড্ডয়নের পরপরই উচ্চতা হারাতে শুরু করে ফকার ১০০ উড়োজাহাজটি। এরপর সেটি প্রথমে একটি কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং তারপর একটি দোতলা বাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে। তবে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে আগুন ধরেনি।
কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ছয়জন শিশু বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছেন তিনি। আর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৬০ জন যাত্রীর একটি তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মারাল এরমান নামের আহত এক যাত্রী স্থানীয় একটি নিউজ সাইটকে বলেন, উড্ডয়নের সময়ই উড়োজাহাজটি প্রবলভাবে ঝাঁকি খাচ্ছিল। প্রথমে তার মনে হয়েছিল বিমান বোধ হয় মাটিতে নামতে পেরেছে। কিন্তু এরপর কোনো কিছুর সঙ্গে জোরে সংঘর্ষ হয়।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর একজন ক্রু জরুরি নির্গমন পথ খুলে দিয়ে যাত্রীদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। নিচে নেমে এরমান দেখতে পান, তাদের উড়োজাহাজ মোটামুটি টুকরো হয়ে গেছে।
WATCH: Footage from the scene after Bek Air passenger plane carrying 100 people crashes into building in Almaty, Kazakhstan pic.twitter.com/pdGyK2uDCE
— BNO News (@BNONews) December 27, 2019
রয়টার্সের একজন প্রতিবেদক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন ওই এলাকায় ঘন কুয়াশা ছিল। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিশন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আলমাটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বেকএয়ার সাময়িকভাবে তাদের ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ রেখেছে।
কাজাখস্তানে বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি আলমাটির কাছেই একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২০ জন নিহত হয়। আর এক মাস আগে কাজাখ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।