সাগর ছেড়ে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হামলিন বে এলাকার সৈকতে চলে আসা প্রায় ১৫০টি পাইলট তিমির মধ্যে প্রায় ১৪৪টির মৃত্যু হয়েছে।
Published : 24 Mar 2018, 08:59 PM
তিমিগুলোর মধ্যে মাত্র ছয়টি বেঁচে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক জেলে সৈকতজুড়ে পড়ে থাকা এসব তিমিকে দেখতে পান। এলাকাটি অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে। এরপর থেকেই তাদের গভীর সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে বড় ধরনের এক উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
১০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক, বনবিভাগের কর্মী ও অন্যান্যরা পাইলট তিমিগুলোকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছিল।
কিন্তু আবহাওয়া পরিস্থিতি ও উন্মত্ত হয়ে ওঠা হাঙ্গরের কারণে উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর রাতে ১৪০টিরও বেশি তিমি মারা যায়। এই প্রজাতির তিমিগুলো দলবেঁধে সাগরের তীরে চলে আসার জন্য পরিচিত।
“আমি কখনও এ ধরনের কোনো কিছু দেখিনি, এতগুলো তিমি সৈকতে এসে পড়ে আছে,” বলেছেন এক বিস্মিত পর্যটক।
এক বিবৃতিতে বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখপাত্র জেরিমি চিক বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে অধিকাংশ তিমি রাতে (বৃহস্পতিবার) সৈকতের শুষ্ক অংশে চলে আসায় তাদের মৃত্যু হয়।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাথুরে ওই সৈকতটিতে পড়ে থাকা মৃত তিমিগুলো জীবিত তিমিগুলোকে ঘিরে থাকায় ও উত্তাল সমুদ্রের কারণে জীবিতগুলোকে সরানোর কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি জীবিত তিমিগুলোকে সাগরে ছেড়ে আসা যদি সম্ভবও হয় তাহলেও সেগুলো আবার ফিরে আসতে পারে, এমন ঝুঁকি থেকেই যায় বলে জানিয়েছেন চিক। আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেন তিমিরা সৈকতে এসে মৃত্যুকে বরণ করে নেয় তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা নেই বিজ্ঞানীদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তিমিরা অসুস্থ বা আঘাত পেয়ে আহত হলে বা দিক হারালে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
“এটি প্রাকৃতিক রহস্যগুলোর একটি,” সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন উদ্ধার উদ্যোগের এক সমন্বয়কারী। তিমিগুলো একবার সৈকতে উঠে আসার পর খুব দ্রুত তাদের অবস্থার অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
কখনও কখনও সৈকতে উঠে আসা প্রাণীগুলো কষ্টের সঙ্কেত পাঠায়, তাতে অন্যান্য তিমিরা আকর্ষিত হয়েও সৈকতে উঠে আসে।
১৯৯৬ সালে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ৩২০টি তিমি সৈকতে উঠে এসেছিল, যা এ ধরনের সবচেয়ে বড় ঘটনা।