উত্তর সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়াদের ওপর বিমান হামলা শুরু করেছে তুরস্ক। এ অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে সিরিয়ার সাত বছরের গৃহযুদ্ধ আরেকটি নতুন মোড় নিল।
Published : 20 Jan 2018, 11:50 PM
আফরিন প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি অবস্থানগুলোতে তুরস্কের এ হামলার ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আঙ্কারার উত্তেজনা সৃষ্টির আশংকা বাড়ছে।
কুর্দি মিলিশিয়াদের ওপর কয়েকদিন ধরে গোলাবর্ষণের পর এখন তাদের ওপর বিমান থেকে বোমা ফেলতে শুরু করল তুরস্ক।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টিভি সম্প্রচারে সিরিয়ান কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী ওয়াইপিজি’র বিরুদ্ধে নতুন এই স্থল ও বিমান অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ'। আফরিন থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের তাড়াতে চাইছে তুরস্ক।
আফরিনের কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী ওয়াইপিজি কে তুরস্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলেই গণ্য করে। তবে এই যোদ্ধাদের অনেকেই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
শনিবার তুরস্কের সেনাবাহিনী ওয়াইপিজি’র পাশাপাশি আইএস এর বিরুদ্ধেও নতুন অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। কুর্দিদের ১০৮ টি অবস্থানে এরই মধ্যে হামলা করা হয়েছে বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।
সিরিয়া এর আগে এ ধরনের কোনোরকম অভিযানের বিরুদ্ধে তুরস্ককে হুঁশিয়ার করেছে এবং তুর্কি বিমান ভূপাতিত করারও হুমকি দিয়েছে।
তবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়াকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সব দিকে লক্ষ্য রেখেই অভিযান চালানো হচ্ছে। লক্ষ্য হচ্ছে ওয়াইপিজি। বেসামরিক কোনো নাগরিক হতাহত হয়নি।
সিরিয়ার ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার’ প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তুর্কি সেনাবহিনীও।
সিরিয়ায় ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ নামে পরিচিত তুরস্কপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী তুরস্কের এ সামরিক অভিযানে সহায়তা করছে। তুরস্কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
ওয়াইপিজি’র এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, আফরিন শহর এবং এর আশেপাশের গ্রামগুলোতে বিমান হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা কত তা জানা নেই।
তুরস্কের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে গোলাবর্ষণ করছে। এলাকাটি থেকে আসা গুলির জবাবেই অভিযানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।