পরপর দুইদিনে দুটি ঈদুল ফিতর উৎসব পালিত হয়েছে পাকিস্তানে।
Published : 27 Jun 2017, 02:32 PM
দ্য ডন জানিয়েছে, রোববার দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া এবং ফাতা এলাকায় ঈদুল ফিতরের উৎসব উদযাপন করা হয়, কিন্তু সেই দিনই দেশটির কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটি (রুয়েত ই হিলাল কমিটি) পরদিন সোমবার দেশজুড়ে ঈদুল ফিতর উৎসব পালিত হবে বলে ঘোষণা করে।
রোববার রাতে পাকিস্তানজুড়ে ঈদের চাঁদ দেখা যায়। এরপরই দেশটির কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটি একমাত্র খাইবার পাখতুনখোয়া ছাড়া দেশের সব অংশ থেকে চাঁদ দেখা গিয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে।
এর আগে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ ও আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্বেও পেশোয়ারের কাসিম আলী খান মসজিদ থেকে একদিন আগেই ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর বলে, “সারা দেশ থেকে নতুন চাঁদ দেখা গিয়েছে। চাঁদের আকার থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, এটি ২৯তম দিবসে ওঠা শুক্লপক্ষের চাঁদ, ৩০তম দিবসের চাঁদ হলে আকারটি আরো একটু বড় হতো।”
চাঁদ দেখা কমিটির মুফতি মুনিবুর রেহমান ডনকে বলেন, “চাঁদ এমন একটি জিনিস যা সবাই দেখতে পায়, আর তাই পুরো জাতি আগামীকাল (সোমবার) ঈদ উদযাপন করবে।”
কাসিম আলী খান মসজিদের একগুঁয়ে আলেমদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন তিনি। ওই ইমামরা ঈদের চাঁদ না দেখা দেওয়া সত্বেও সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিলিয়ে ঈদ পালন করার জন্য একদিন আগেই ঈদ পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার পাকিস্তানের করাচি, লাহোর, মুলতান, ঝোব ও সুক্কুরসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো থেকে চাঁদ দেখার খবর এসেছিল। তবে এর আগেই শনিবার কাসিম আলী খান মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিজেরা বৈঠক করে একদিন আগেই ঈদ পালন করার ঘোষণা দিয়ে দেয়।