যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বিচ শহরে জিকা ভাইরাস বহনকারী মশার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর এটি দ্রুতই দেশটির উপসাগরীয় উপকূলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন এক মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
Published : 22 Aug 2016, 10:49 PM
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় মিয়ামি বিচে গেল সপ্তাহে জিকা ভাইরাস বহনকারী মশার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর ফলে উপকূলীয় প্রদেশ লুইজিয়ানা ও টেক্সাসে জিকা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং সেখান থেকে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এরই মধ্যে ফ্লোরিডায় পাঁচজন জিকা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে।
সানডে মর্নিংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেল্থ এর প্রদাহ ও সংক্রমণ রোগ বিভাগের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফুচি বলেন, “যদি উপসাগরীয় উপকূলবর্তী অন্য প্রদেশগুলোতেও জিকা ছড়িয়ে পড়ে তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।”
এ মাসে লুইজিয়ানায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। বন্যার বদ্ধ পানির অনেক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল এতে মশা জন্মে। জিকাকে থামানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হত মশা নিয়ন্ত্রণ করা, বলেন ফুচি।
শুক্রবার ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট সেখানে পাঁচ জনের জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ামি বিচেই তারা জিকা সংক্রমণে পড়েছেন।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে তেমন কোনও সমস্যা না হলেও গর্ভাবস্থায় কোনও নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভের শিশুর মারাত্মক জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।
শিশুটি ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে মাইক্রোসেফালি বলে।
মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ঠিকমত হয় না। ফলে শিশুটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও নানা রকম মারাত্মক শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে।