লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন ‘ব্রেক্সিট’ পরবর্তী যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, এমন ধারণাই করা হচ্ছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আকস্মিকভাবে এ দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
Published : 30 Jun 2016, 06:47 PM
দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের মাত্র কয়েক মিনিট আগে জনসনের এ প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা আসে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের পক্ষ জয়ী হওয়ার প্রেক্ষাপটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
এরপর ইইউ ত্যাগের পক্ষে জোর প্রচার চালিয়ে আসা বরিস জনসনই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাজিকরদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন।
একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না নামার সিদ্ধান্ত জানান। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা এবং পার্লামেন্টের পরিস্থিতির আলোকেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান বরিস।
ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচার চালানো আরেক বড় মাপের নেতা বিচারমন্ত্রী মাইকেল গভ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা নিশ্চিত করার পরপরই জনসন সরে দাঁড়ালেন।
মাইকেল গভকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিজা মে’র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে লন্ডনে এক প্রেস কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন টেরিজা মে। তিনি যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
টেরিজা মে ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের নেতৃস্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে মাইকেল গভকে।