ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে লিসবন চুক্তির ‘আর্টিকেল ফিফটি’র আইনি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তার উত্তরসূরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন।
Published : 29 Jun 2016, 10:11 PM
তিনি বলেন, “তারা (ইইউ নেতারা) বলছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরুর আগে কোনও আলোচনা নয়, তবে আমি মনে করি না তার অর্থ এই যে, আমাদের সঠিক পথে এগিয়ে যা্ওয়ার লক্ষে্য নতুন প্রধানমন্ত্রী পার্টনারদের সঙ্গে কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা চালাতে পারেন তা এর আওতায় পড়বে না।”
যুক্তরাজ্যকে একত্রে ধরে রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন ক্যামেরন।
স্কটল্যান্ড পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট আটকানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেওন।
লন্ডনের অধিকাংশ বাসিন্দাও ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এমনকি অনেকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের কাছে লন্ডনের স্বাধীনতা ঘোষণা করার কথাও বলেছেন।
বুধবার পার্লামেন্টে ক্যামেরন বলেন, “আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ হল যুক্তরাজ্যকে একজোট রাখা।”
ওদিকে, ব্রাসেলসে ইইউ-র জরুরি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ছাড়াই বৈঠক করতে যাচ্ছেন ইইউ নেতারা।
বুধবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার গণভোটের ফল প্রকাশের দিনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ক্যামেরন।
গণভোটে দেওয়া যুক্তরাজ্যবাসীর ইচ্ছাকে ‘সম্মান জানানোর’ আহ্বান জানান জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। সেইসঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যকে দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরুর করার কথা বলেন।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল বলেন, “অযথা রাজনৈতিক সঙ্কট প্রলম্বিত করার মত বিলাসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যুক্তরাজ্যের নেই।”
“যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত সংস্থাটির জন্য একটি আগাম সতর্ক বার্তা। সংস্থাটিকে এগিয়ে নিতে এবং চলার পথ মসৃণ করতে বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
বাকি ২৭ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর নেতারাও ইইউর ভবিষ্যত নিশ্চিত করা প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।