বিটকয়েন বিরোধী বিক্ষোভ চলছে লাতিন আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে। ‘অনুমোদিত মুদ্রা’ হিসেবে বিটকয়েনের প্রচলন নিয়ে বিক্ষোভ জানাতে পথে নেমেছেন দেশটির কয়েক হাজার নাগরিক, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক বিটকয়েন মেশিন।
Published : 16 Sep 2021, 03:06 PM
সরকারের ‘অনুমোদিত মুদ্রা’ হিসেবে এল সালভাদরে বিটকয়েনের আনুষ্ঠানিক প্রচলন হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ লেনদেনের বাড়তি খরচ এড়ানো সম্ভব হবে-- বলে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে।
দেশটির সরকার বিটকয়েন নিয়ে ইতিবাচক প্রচারণা চালালেও, বিবিসি জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিটি আদতে কী এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নেই দেশটির নাগরিকদের অনেকেরই।
বিটকয়েনের প্রচলন অস্থিতিশীলতা এবং মুদ্রাস্ফীতি বয়ে আনবে--এমনটা আশঙ্কা করছেন লাতিন আমেরিকার দরিদ্র দেশটির বিক্ষোভকারীরা।
বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালীন অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে একাধিক বিটকয়েন মেশিনে। বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা গেছে “বুকেলে একনায়ক” লেখা ব্যানার।
দেশটির স্বাধীনতার দুইশ’ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজধানী স্যান সালভাদরে একত্রিত হন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে “বিটকয়েনকে না বলুন” এবং “সংবিধানকে সম্মান দিন” লেখা প্ল্যাকার্ড ছিলো বলে জানিয়েছে বিবিসি। ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট একনায়কতন্ত্র কায়েম করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এল সালভাদরের সংবিধানে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্বপালন নিয়ে সীমাবদ্ধতা থাকলেও এই বিষয়ে সম্প্রতি দেশটির বিচার বিভাগের সমর্থন পেয়েছেন নাইব বুকেলে।
এই প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিক্ষোভকারী ডোরা রিভেরা বলেন, “আজকে সকালে এটা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: যথেষ্ট হয়েছে! সরকার যা করছে তা উদ্ধত আচরণ, এটা একনায়কতন্ত্র”।
অন্যদিকে, বিটকয়েন নিয়ে বিক্ষোভ চললেও জনসমর্থনের হিসাবে প্রেসিডেন্ট বুকেলে এখনও এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। দেশটির এক সংবাদপত্রে জরিপ বলছে প্রেসিডেন্ট বুকেলের পক্ষে আছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৫.৭ শতাংশ।