জার্মানির এক শুনানিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ প্রমাণ উপস্থাপন করেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের হেলথ ডেটা। এই শুনানিতে এক শরণার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে-- খবর বিবিসি’র।
Published : 13 Jan 2018, 03:42 PM
আইফোন ৬এস আর নতুন মডেলগুলোতে অ্যাপলের হেলথ অ্যাপ আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর হাঁটা-চলার ধাপ রেকর্ড করে রাখে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ঘটনার শিকার ব্যক্তিকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নদীতীরে নিয়ে আসে ও পরে আবার উপরে উঠে যায়। অ্যাপের ডেটা থেকে এই তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি পুলিশের।
হুসেইন কে নামের ওই অভিযুক্ত তার দোষ স্বীকার করলেও কিছু বিস্তারিত তথ্য লুকিয়েছিলেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ১৯ বছর বয়সী মেডিকেল শিক্ষার্থী মারিয়া ল্যাডেনবারগার খুন হন। দেশটির ফ্রেইবার্গ-এর জেলা আদালতে সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে শুনানি শুরু হয়। ল্যাডেনবারগার-কে ধর্ষণের পর ড্রেসিয়াম নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
অপরাধস্থলে পাওয়া একটি চুল থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে তার ফোন আনলকের পিন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করা মিউনিখ-এর এক সাইবার-ফরেনসিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডিভাইসটি আনলক করেন।
অ্যাপলের হেলথ ডেটা অ্যাপ ব্যবহারকারীর কার্যক্রম শনাক্ত করে, এর মধ্যে তিনি কয় ধাপ হেঁটেছেন, তার পুষ্টি আর ঘুমের অবস্থা এবং হদস্পন্দনের হারের মতো ডেটাও রয়েছে।
ডেটা পাওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি যেভাবে ও অপরাধ সংঘটিত করেছেন তা ধারণা করে পুলিশ। এরপর তদন্তকারী এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই একইভাবে চলাচল করেন। তার অ্যাপেও একই রকম ডেটা দেখানো হয়।
আদালতে পুলিশ প্রধান পিটার এগেটেমাইয়ার বলেন, “এই প্রথমবার আমরা স্বাস্থ্য ও স্থান সংক্রান্ত ডেটার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করলাম।”
এউ শুনানিতে হুসেইন-এর সঠিক বয়স বের করারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি শুরুতে তার বয়স ১৭ বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু ইরানে খুঁজে বের করা তার বাবা এ তথ্য মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।
জার্মানিতে ১৮ বছরের কমবয়সীদের সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর, আর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এ ধরনের অপরাধে এটি ৩০ বছর পর্যন্তও হতে পারে।