অনলাইনে ঘৃণামূলক বক্তব্য ঠেকাতে ফেইসবুক, টুইটার, গুগল-এর ইউটিউব আর মাইক্রোসফটসহ মার্কিন টেক জায়ান্টগুলোকে আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে এমনটা করতে তাকে আইনিভাবে বাধ্য করা হবে, রোববার এ কথা জানায় ইউরোপিয়ান কমিশন।
Published : 05 Dec 2016, 04:58 PM
এর আগে শরণার্থী সংকট আর সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকার প্রেক্ষিতে ইউরোপে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি কোড অফ কনডাক্ট সই করে ইউরোপিয়ান কমিশন। তার ছয় মাসের মাথায় এমন সতর্কতা জারি করল সংস্থাটি।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিতে বলা পদক্ষেপের মধ্যে প্রয়োজনে কনটেন্ট সরানো বা এর অ্যাকসেস বন্ধ করা, নাগরিক সমাজ আর সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিপরীতে প্রচারণা চালানোর কথাও রয়েছে, জানিয়েছে রয়টার্স।
কমিশনে এক কর্মকর্তা বলেন, “বাস্তবে প্রতিষ্ঠানগুলো লম্বা সময় নেয় আর এখনও লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতে থাকা মাত্র ৪০ শতাংশ ঘটনা যাচাই করতে পারে। ৪৮ ঘণ্টা পর অংকটা ৮০ শতাংশের বেশি হয়। এর মানে হচ্ছে বাস্তবে লক্ষ্যটা অর্জন করা সম্ভব, কিন্তু এ ক্ষেত্রে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক বেশি প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
পদক্ষেপ নেওয়া দ্রুত করতে আইনি চাপ দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে কমিশন।
“যদি ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটার ও মাইক্রোসফট আমাকে আর মন্ত্রীদের মানাতে চায় তাহলে আনুষ্ঠানিক আইনিভাবে না গিয়েও কাজ করা যেতে পারে, এ ক্ষেত্রে সামনের মাসগুলোতে তাদের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে ও শক্ত প্রচেষ্টা চালাতে হবে”, ইইউ’র বিচার বিভাগীয় কমিশনার ভেরা জোওরোভা এমন মন্তব্য করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার এক মুখপাত্র।
এই কমিশনারের প্রতিবেদনে দেখা যায়, জার্মানি আর ফ্রান্সে পোস্ট সরানোর হার ৫০ শতাংশের বেশি হলেও অস্ট্রিয়ায় ও ইতালিতে যথাক্রমে ১১ ও চার শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ এই বিষয়ে আলোচনায় বসবেন ইইউ কর্মকর্তারা।